ব্রিটিশ নারীর খোঁজে ইন্টারপোলের সমন
‘শ্বেতাঙ্গ বিধবা’ হিসাবে পরিচিত ব্রিটিশ নারী সামান্থা লিউথোয়াইটের খোঁজে সমন জারি করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ ইন্টোরপোল। কেনিয়ার অনুরোধে বৃহস্পতিবার এ নোটিশ জারি করা হয়। লিউথোয়াইট ২০০৫ সালের ৭ জুলাইয়ে লন্ডনে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী জেরেমি লিন্ডসের বিধবা স্ত্রী।
ইন্টারপোলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরক রাখা এবং ২০১১ সালের ডিসেম্বরে একটি অপরাধের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে ২৯ বছর বয়সী এই নারীকে গ্রেপ্তার করতে চায় কেনিয়া।
লিউথোয়াইট সোমালিয়ার জঙ্গি দল আল-শাবাব এর সঙ্গে জড়িত বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের খবরে। এই দলটি কেনিয়ায় নাইরোবির ওয়েস্টগেট শপিং মলে শনিবারের হামলার ঘটনায় জড়িত। এ হামলায় লিউথোয়াইটের ভূমিকা আছে বলে জল্পনা রয়েছে।
তবে ইন্টারপোল জানায়, এ ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্রের সন্দেহে তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করা হয়নি। ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ এলার্ট এর আওতায় তাকে গ্রেপ্তার করার দায়িত্ব সদস্যদেশগুলোর। লিউথোয়াইট কয়েকবছর আগে ব্রিটেন ছেড়ে চলে গেছেন বলে ধারণা করা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি পান্ডর প্রিটোরিয়ায় বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০০৮ সালের জুলাইয়ে লিউথোয়াইট অবৈধ পাসপোর্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবেশ করেন।
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ এ পাসপোর্ট ব্যবহার করেন তিনি। কেনিয়ায় বিলাসবহুল হোটেল এবং রেঁস্তোরাগুলোতে হামলা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে খুঁজছে পুলিশ।
যুক্তরাজ্যের পুলিশ নাইরোবির শপিং মলে হামলার ঘটনায় তার হাত থাকার সন্দেহ করছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীও বলেছে, মলে চারদিনের হামলায় নারীরাও ছিল। তবে আল শাবাব তাদের টুইটারে বলেছে, ‘আমাদের বোনেরাই’ অভিযানে অংশ নিয়েছে। শপিংমলে এ হামলায় ৬৭ জন নিহত হয়।
হামলার ঘটনার তদন্ত চলছে।কেনিয়ার তদন্তকারীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, কানাডা এবং ইন্টারপোলের বিশেষজ্ঞরা।