সেই ‘ইশতেহার’ নিষিদ্ধ করলো নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারী সন্ত্রাসীর ‘ইশতিহার’ নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। আজ শনিবার দেশটির ‘ফিল্ম এন্ড লিটারেচার ক্লাসিফিকেশন’ এই ঘোষণা দেয়। ৮০ পৃষ্ঠার এই ইশতেহার অভিবাসন-বিরোধী ও মুসলিম-বিদ্বেষী মন্তব্যে পরিপূর্ণ ছিলো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সেন্সর বিষয়ক প্রধান ডেভিড শানস বলেন, এই ঘৃণাত্মক মন্তব্য বোধ-সম্পন্ন ব্যক্তিরা বর্জন করলেও অনেকেই এটি দেখে সন্ত্রাসবাদ চালানোর ও হত্যাকান্ডে উৎসাহিত হতে পারে।’ তিনি যারা এটি ডাউনলোড করেছে বা প্রিন্ট করেছে তাদের এটি বিনষ্ট করে ফেলার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে এ ধরনের পোস্ট, লিংক দেখলে রিপোর্ট করার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ঘৃণা, হত্যা ও সন্ত্রাসের এই ইশতেহার যেন কোনভাবেই ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য নিউজিল্যান্ডার্সদেরই এগিয়ে আসতে হবে।’
কয়েকদিন আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আর্ডেনও কখনোই জনসম্মুখে ওই সন্ত্রাসীর নাম উচ্চারণ না করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, জনপ্রিয়তা পাওয়ার তার ঘৃণাত্মক উদ্দেশ্য আমরা সফল হতে দেব না। দুইটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫০জনকে হত্যার আগে ওই বর্ণবাদী ‘ইশতেহার’ সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর অফিসেই ই-মেইলে পাঠিয়েছিলো ওই সন্ত্রাসী। সেই সঙ্গে হত্যাকান্ডের ভিডিও লাইভ করেছিলো। প্রসিকিউটররা এই ভিডিও শেয়ারিং নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার ওই ভিডিও শেয়ার করার অভিযোগে ২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মানবাধিকার আইনে কোন ধরনের সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও বর্ণবাদী মন্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে তাদের আটক করা হয়।