একজন শ্রীলঙ্কানসহ নিহত ৭, উদ্ধার শতাধিক
বনানীর এফআর টাওয়ারে আগ্নিকাণ্ড
নিচে নেট ধরার জন্য আবেদন করছেন বাঁচতে চাওয়া মানুষগুলো
বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুনে এখন পর্যন্ত মোট ৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছে। কুর্মিটোলা এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্র এবং ইউনাইটেড হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নিহতের মধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতালে ৩ জন, কুর্মিটোলায় ১ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে একজনের মৃতদেহ রাখা হয়েছে।
এ পর্যন্ত ভবনটি থেকে শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া সবাই কমবেশি আহত হয়েছেন। আটকা পড়াদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আটকে পড়াদের উদ্ধারে দুটি স্কাই লিফট ব্যবহার করা হচ্ছে।
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বেলায়েত হোসেন জানিয়েছেন, ‘আমাদের হাসপাতালে একজনের মরদেহ আনা হয়েছে। আহত আরও ৬৪ জন এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ১৭ নম্বর রোডের ২২ তলা ভবনে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২১টি ইউনিট কাজ করছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। তাদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নানা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, সেখানে এখন পর্যন্ত চারজনকে ভর্তি করা হয়েছে। একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তার নাম জানা যায়নি। একজন শ্রীলংকার নাগরিক আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। রেজাউর রহমান নামে একজনকে ভর্তি করা হয়েছে যিনি ১১ তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে ২১ তলায় উঠে যান। সেখানেও আগুন পৌছে গেলে ২১ তলা থেকে তিনি লাফিয়ে পড়েন। তাকে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।’ পাশের ভবনে থাকা একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অফিস নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আগুন থেকে বাঁচার জন্য ভবন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন অনেকে। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করে নিচে নেট বিছিয়ে দেওয়ার জন্য। তাদের দাবি, তাকে ভবন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়া মানুষগুলো অন্তত বাঁচতে পারবে। ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা জানিয়েছেন, ভেতরে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা কোনোভাবে সম্ভব হচ্ছে না। তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ জানান, ‘ওপরে আটকে পড়া মানুষ যারা লাফিয়ে পড়েছে তাদের বাঁচানোর জন্য নিচে নেট বিছানোর ব্যবস্থা করুন।’