টাওয়ার হ্যামলেটসের মসজিদগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনায় বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত

টাওয়ার হ্যামলেটসের মসজিদগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনায় এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল, কাউন্সিল অব মস্ক এবং ইস্ট লন্ডন মসজিদের যৌথ উদ্যোগে ১ এপ্রিল, সোমবার এলএমসির সেমিনার হলে এই বৈঠকটি অনুষ্টিত হয়। এতে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের প্রায় সকল মসজিদের ইমাম এবং পরিচালনা কমিটির প্রতিনিধিরা যোগ দেন।

ইস্ট লন্ডন মসজিদের ডাইরেক্টর দিলওয়ার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বিশেষ বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস, ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলাম, ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার আসমা বেগম, বারা কমান্ডার সু উইলিয়াম, কাউন্সিলের কমিউনিটি সেইফটি বিষয়ক ডিভিশনাল ডাইরেক্টর এ্যান করবেট, ইন্টার ফেইথ ফোরামের চেয়ার র‌্যাব এল্যান গ্রীন, কাউন্সিল অব মস্কের চেয়ার হাফিজ মওলানা শামসুল হক এবং কো অর্ডিনেটর আসলাম খান। কাউন্সিল অব মস্কের চেয়ার হাফিজ মওলানা শামসুল হকের সূচনা বক্তব্যের পর নির্বাহী মেয়র জন বিগস বক্তব্য রাখেন। মেয়র তার বক্তব্যে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার নূন্যতম পুনরাবৃত্তি রোধে সবধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থার প্রতি জোর দেন।

মেয়র বলেন, কাউন্সিল এবং পুলিশের পাশাপাশি মসজিদগুলোকেও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে। আর এজন্য কাউন্সিল মসজিদগুলোকে ট্রেনিং এবং আইডিয়া দিয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আজকের এই সভাটি আমাদের আরেকবার ঐক্যবদ্ধ করেছে। আমরা যদি এভাবে কাজ করতে পারি তাহলে একে মোকাবেলা করা সম্ভব। এব্যাপারে একে অন্যের অনুভূতি এবং বিভিন্ন ধরনের ধারনা জানাটা জরুরী। কারন যারা আমাদের বিভক্ত করতে চায় তাদের কাছ থেকে কমিউনিটিকে রক্ষা করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

মেয়র বলেন, নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর পরই হেইট ক্রাইমের শিকার ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে হোম সেক্রেটারীর কাছে চিঠি দিয়েছিলাম। হোম সেক্রেটারী ধর্মীয় প্রতিষ্টানের নিরাপত্তার জন্য ১.৬ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ রয়েছে বলে জানিয়েছেন। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মসজিদগুলো যাতে এ থেকে বরাদ্দ পেতে পারে এজন্য কাউন্সিল সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

কেবিনেট মেম্বার ফর কমিউনিটি সেইফটি এবং ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার আসমা বেগম বলেন, নিউজিল্যান্ডের সন্ত্রাসী ঘটনাটি মুসলমানদের টার্গেট করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে চালানো হয়েছিলো। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। কোন ধরনের ভয়ভীতি ছাড়াই মানুষের উপাসনালয়ে যাওয়া উচিৎ আর এজন্য কাউন্সিল হিসাবে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি। তিনি বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসে ঘৃণার কোন স্থান নেই।

হ্যাকনী এবং টাওয়ার হ্যামলেটস জয়েন্ট পুলিশ ফোর্সের কমান্ডার সু উইলিয়াম বলেন, এধরনের পরিস্থিতিতে কমিউনিটির মানুষের সাথে কথা বলাটা জরুরী। আমরা অবশ্যই সাধ্যমতো চেষ্টা চালাবো তাদের উদ্বেগ দূর করার জন্য। আমরা আগের চেয়ে আরো সচেতন এজাতীয় অপরাধের ব্যাপারে।

সভাপতির বক্তব্যে ইস্ট লন্ডন মসজিদের ডাইরেক্টর দিলওয়ার খান মসজিদে যারা ভলান্টিয়ার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন তাদের মধ্যে থেকে অন্তত একজনকে সিকিউরিটির দায়িত্ব নিয়ে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং নেয়ার অনুরুধ করেন। তিনি এব্যাপারে কাউন্সিল এবং পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্টানে প্রশ্নউত্তর পর্বে মেয়র জন বিগস এবং বারা কমান্ডার সু উইলিয়াম নিরাপত্তা বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button