‘আল আহরার পাঠ প্রতিক্রয়া ও খবর কাগজের গুরুত্ব’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৯.৩০ টায় ‘আল আহরার’-এর উদ্যোগে লন্ডনের আল হুদা সেন্টারে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আল আহরার সম্পাদক হোসাইন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘আল আহরার পাঠ প্রতিক্রিয়া ও খবর কাগজের গুরুত্ব’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ, পাক্ষিক তৃতীয় বাংলা’র প্রধান সম্পাদক ও ঢাকা পোষ্ট ফাউন্ডেশনের চেয়াম্যান অধ্যাপক ওমর ফারুক, সাপ্তাহিক বাংলা পোষ্টের লন্ডন প্রতিনিধি ও রেঁনেসা সাহিত্য মজলিসের জেনারেল সেক্রেটারি শিহাবুজ্জামান কামাল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ মিজানুল হক, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এর এডমিশন অফিসার শায়খ মুস্তাক আহমেদ, সমাজকর্মী ওলিউর রহমান, আল কোরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন ইউকের নুফায়েস আহমদ, অওঞ থেকে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ইয়াং মুসলিম ফোরাম ইউকের আহবায়ক হাফিজ মাওলানা আব্দুল কাদির, ইয়াং মুসলিম ফোরাম ইউকের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন, নেক্সট সি. লিমিটেড এর সেলস ডিরেক্টর জাবেদ খান প্রমুখ।
আল আহরার সম্পাদক হোসাইন আহমদ তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আল আহরার সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কণ্ঠস্বর হতে চায়। এখনকার সময়ে মানুষের পাঠের অভ্যাস আগের তুলনায় বেড়েছে, তবে মানুষ ভালো মানের কোনো কাগজ পাচ্ছে না। আমরা তাদের হাতে এমন একটি কাগজ তুলে দিতে চাই, যা পাঠকের সবধরণের চাহিদার খোরাক মেটাবে।
অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ বলেন, নিয়মিত এরকম একটি মিটিংয়ে বসা খুবই কার্যকর। প্রতিমাসে আপনারা বড় ধরণের একটি প্রোগ্রাম করতে পারেন, যেখনে লেখক-সাহিত্যিক, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজের কর্মী এবং সমাজের প্রতিশ্রুতিশীল ব্যক্তিরা থাকবেন। এটি একটি সাহিত্য আড্ডাও হতে পারে। তবে আপনাদের পত্রিকার মান দিনদিন কমে যাচ্ছে, বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরী।
অধ্যাপক ওমর ফারুক বলেন, আপনারা পত্রিকার মাধ্যমে যে কাজ করছেন তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। আমি জানি এটা একটা নেশার মতো। তবে একটি অর্গানাইজিং গ্রুপ না হলে পত্রিকা নিয়ে অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়। ভালো প্রিন্টিংয়ের দিকে নজর দিতে হবে। আল আহরার-এর ডিজাইনে অনেক দৈন্যতা ফুটে ওঠেছে। এ পত্রিকাটিকে বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করে ফেললে মনে হয় ভালো হয়। আমার জানামতে লন্ডনে অনেক বড় বড় লেখক অভিযোগ করেন পত্রিকায় নিয়মিত লেখা দেয়ার পরও ছাপা হয় না। এদেরকে মূল্যায়ণ করতে হবে।
শিহাবুজ্জামান কামাল বলেন, আমরা বংলাদেশে দেখেছি পত্রিকাগুলো পাঠকের ওপর নির্ভ করে চলে। কিন্তু বৃটেনের পত্রিকাগুলো সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন নির্ভর। এখন তো বৃটেনে অনেকগুলো পত্রিকা বের হয়। খবর কাগজের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিযোগীতা তৈরি হয়েছে। আগের মতো ভালো বিজ্ঞাপন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে টার্গেট এবং প্লান করে এগুলে ফলাফল আশা করা যায়।
শাহ মিজানুল হক বলেন, আমি আল আহরার-এর সঙ্গে সবসময় আছি। এখানে আমরা আরো বেশি সৃজনশীল লেখা চাই।
শায়খ মুস্তাক আহমেদ বলেন, আমি তেতো কথা বলবো। আল আহরারের একটি সংখ্যার সাথে অন্যটির কোনো মিল খুঁজে পেলাম না। পত্রিকাটি আমার ভালো লাগেনি। বর্তমান সংখ্যাটি খুব খারাপ হয়েছে। পুরনো সংখ্যার মধ্যে মে সংখ্যাটি মনে হচ্ছে কিছুটা ভালো হয়েছে। পত্রিকার নাম আল আহরার আমার পছন্দসই হয়নি। নামটা আরো স্ট্যান্ডার্ড হলে ভালো হতো।
নুফায়েস আহমদ বলেন, এখনকার মানুষ ইন্টারনেটের সুবিধায় অনেকগুলো পত্রিকা পড়ে ফেলে। সুতরাং কপি করতে হুশিয়ায়।
এছাড়া বিভিন্ন পর্বে আল আহরার নিয়ে নিজেদের পাঠ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ওলিউর রহমান, অওঞ থেকে আব্দুল্লাহ আল মাহমু, আব্দুল কাদির, আল আমিন, জাবেদ খান প্রমুখ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button