মিসর সফরে আমেরিকান কূটনীতিক
আমেরিকার সহকারী-পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলয়াম বার্নস মিসরের সেনা-সমর্থিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে বর্তমানে মিসরে অবস্থান করছেন। ৩ জুলাই সেনাবাহিনীর হাতে প্রেসিডেন্ট মুরসির ক্ষমতাচ্যুতির পর এটিই আমেরিকার কোনো উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার প্রথম সফর। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, মিসরে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলবেন বার্নস। আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন সাকি জানিয়েছেন, ‘মিসরে একটি গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে সেখানকার সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং ব্যবসায়ী নেতাদের কাছ থেকে সরাসরি মতামত শুনবেন বার্নস।’
প্রকৃতপক্ষে উইলিয়াম বার্নস এমন এক সময় কায়রো পেঁৗছালেন, যখন মুরসি-সমর্থক এবং মুরসি-বিরোধী দুই পক্ষই আমেরিকার ওপর তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। মুরসি সমর্থকরা সেনাবাহিনীর হাতে মুরসির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঘটনায় আমেরিকার ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করছে। এছাড়া মুরসির ক্ষমতাচ্যুতির পরও মিসরের সেনাবাহিনীর প্রতি আমেরিকার দেড় বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক সাহায্য অব্যাহত রাখা এই অসন্তোষের অন্যতম কারণ। অন্যদিকে মিসরে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত অ্যান পিটারসনের ব্রাদারহুড-সংশ্লিষ্টতার জন্য মুরসিবিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে আমেরিকা। সোমবার বার্নস মিসরে পেঁৗছালে মুরসির সমর্থক এবং বিরোধীপক্ষ পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়।