ব্রিটেনের আদালতে দোষী সাব্যস্ত অ্যাসাঞ্জ
উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বৃহস্পতিবার তাকে সাজা দেয়ার জন্য সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে ১২ মাসের সাজা হতে পারে অ্যাসাঞ্জের। তবে আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অ্যাসাঞ্জ।
এদিকে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সরকারি কম্পিউটারে বেআইনিভাবে প্রবেশে সহায়তার অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণেরও আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ২০১০ সালে বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বর্বরতার তথ্য, ছবি ও ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসেন অস্ট্রেলীয় নাগরিক অ্যাসাঞ্জ।
তারপর থেকেই তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র। সুইডেনের করা নারী নির্যাতনের মামলার জেরে ২০১২ সাল থেকে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয়ে ছিলেন তিনি। কথিত আছে গোপন চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার জন্যই দূতাবাসে পুলিশ ডেকে অ্যাসাঞ্জকে ধরিয়ে দেয় ইকুয়েডর।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো যখন ইকুয়েডরের ক্ষমতায় আসেন সে সময় থেকেই বর্তমান সরকারের সঙ্গে ‘নানা কারণে’ দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। অনলাইনে রাজনৈতিক মন্তব্য না করতে হুশিয়ারিও দেয়া হয় অ্যাসাঞ্জকে। তার বিরুদ্ধে বেনামে ওয়েবসাইট চালানোর অভিযোগ তুলেছে মোরেনো সরকার।
শুধু তাই নয়, অভিযোগ, ওই ওয়েবসাইটে মোরেনোর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয় নিয়েও নানা বিষয় প্রকাশ করা হয়। ‘আইএনএ পেপার্স’ নামে প্রকাশিত নথিতে মোরেনো ও তার পরিবারের ব্যক্তিগত ছবিও ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই তথ্য সামনে আসার পর মোরেনো প্রশ্ন তুলেছিলেন, তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও ছবি হ্যাক করার কে অধিকার দিয়েছে অ্যাসাঞ্জকে? যদিও উইকিলিকসের তরফে টুইট করে দাবি করা হয়, এই তথ্য ফাঁসে কোনোভাবেই জড়িত নন অ্যাসাঞ্জ।
শুধু তথ্য ফাঁসই নয়, দূতাবাসে থাকাকালীন দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠেছে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে। ইকুয়েডরের বিদেশমন্ত্রী হোসে ভ্যালেন্সিয়ার অভিযোগ, দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জ যে ফোনটা ব্যবহার করতেন সেটার কোনো রেজিস্ট্রেশন ছিল না। দূতাবাসের পরিবেশও খারাপ করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে।