লন্ডনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান
যুক্তরাজ্যের জিসিএসই ও এ-লেভেল পরীক্ষায় সর্বোচ্চ গ্রেড পাওয়ায় ৮৬ জন বাংলাদেশি-ব্রিটিশ শিক্ষার্থীকে ‘বাংলাদেশ হাইকমিশনার আউটস্ট্যান্ডিং এডুকেশন অ্যাচিবম্যান্ট অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’ প্রদান করা করেছে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের আমন্ত্রণে সোমবার সেন্ট্রাল লন্ডনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তাদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তাফা কামাল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের ৮.১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আগামী দেড় দশকের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সুদীর্ঘ সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির বিশেষ ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, এই তরুণ মেধাবীরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক আরো গভীর ও সুদৃঢ় করবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সাইদা মুনা তাসমীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাকে স্থিতিশীল উন্নয়ন, নারীর অগ্রগতি এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ তরুণ মানব সম্পদ তৈরির প্রধান মাধ্যম হিসেবে নিয়েছেন।
বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের ‘যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ইয়ং এ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি তাদের দু‘দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সুদৃঢ় ও সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে হাই কমিশনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন তৃতীয় প্রজম্মের এ কৃতি শিক্ষার্থীরা যাতে বাংলাদেশের প্রযুক্তি-নির্ভর উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যে সম্পৃক্ত হতে পারে সে জন্য বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ও হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বিশিষ্ট অতিথিদের নিয়ে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পদক ও সনদপত্র তুলে দেন।অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ব্রিটিশ-বাংলাদেশী কমিউনিটির শিল্পীদের বর্ণিল নাচ ও গান।
এ অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ সাংসদ, যুক্তরাজ্য সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বাংলাদেশি-বৃটিশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও শিক্ষকসহ প্রায় ৬০০ অতিথি উপস্থিত ছিলেন। তারা এ সুন্দর অনুষ্ঠানটি প্রাণভরে উপভোগ করেন এবং এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ হাই কমিশনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।