অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে বহিঃসমর্পণে আপত্তি লেবার পার্টির
যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ইরাক ও আফগানিস্তানে যে বর্বরতা হয়েছে, তা ফাঁস করায় জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বহিঃসমর্পণ চাওয়া হচ্ছে; ব্রিটিশ সরকারের উচিত এর বিরোধিতা করা। শুক্রবার টুইটারে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতার বহিঃসমর্পণের বিরোধিতা করে তিনি এ মন্তব্য করেন।
লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তারের পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রে বহিঃসমর্পণের বিষয়ে আলোচনার মধ্যেই লেবার পার্টির শীর্ষ নেতার এ মন্তব্য এলো। কেবল তিনিই নন, তার দলের আরও অনেক প্রভাবশালী নেতাও অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
২০১২ সালে কম্পিউটার হ্যাকার গ্যারি ম্যাককিনোনের প্রত্যর্পণ রুখে দেয়া হয়েছিল, সেভাবেই অ্যাসাঞ্জের বহিঃসমর্পণ প্রক্রিয়া আটকে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেবার পার্টির নেতা ডায়না অ্যাবোট। মানবাধিকারের কারণ দেখিয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে হ্যাকার ম্যাককিনোনের প্রত্যর্পণ আটকে দিয়েছিলেন। ২০১০ থেকে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত থেরেসা টোরি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
২০১০ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ সামরিক ও কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হইচই সৃষ্টি করা উইকিলিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতাকে ধরতে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন ২০১২ সাল থেকে। ইকুয়েডরের বর্তমান সরকারের সঙ্গে বিরোধের একপর্যায়ে তার আশ্রয় বাতিল করা হয়। লন্ডন পুলিশ বৃহস্পতিবার তাকে দূতাবাসের ভেতর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনে।
গ্রেপ্তার এ অস্ট্রেলীয়র বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে জামিনের শর্ত লঙ্ঘনের বিচার চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ ১২ মাসের সাজা হতে পারে। উইকিলিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে কম্পিউটারে আড়িপাতার অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্রও। দোষী প্রমাণিত হলে এ অভিযোগে অ্যাসাঞ্জের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদন্ড হবে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কম্পিউটারে আড়িপাতার এ অভিযোগ মূলত মার্কিন প্রশাসনের ‘কৌশল’।