খাদ্য আর আশ্রয়ের জন্য হাহাকার
পাকিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩৫৭ জনে উন্নীত হয়েছে। মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া হাজার হাজার মানুষ এখন সহায়-সম্বলহীন অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে অনাহারে দিন-রাত কাটাচ্ছেন। পাকিস্তানের সেনা বাহিনী অবশ্য বলছে, মঙ্গলবার বিকালে বেলুচিস্তান প্রদেশের ভূমিকম্প কবলিত আয়ারান জেলাতে সহযোগিতার জন্য সেনাসদস্য এবং হেলিকপ্টার পাঠিয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, দুর্গতদের সাহায্যের জন্য তারাও ডাক্তার, খাদ্য এবং ১০০০ তাঁবু পাঠিয়েছেন। নিহতদের বেশির ভাগই ধসে পড়া বাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন। সেখানকার কাঁচা মাটির তৈরি বাড়ির দেয়ালগুলো ধসে পড়ায় লোকজনের এখন আর রাতে ঘুমানোর জায়গা নেই।
প্রত্যন্ত দুর্গত এলাকার ক্ষুধার্ত জনগণ ত্রাণের অপেক্ষার পর খাবারের সন্ধানে ধসে পড়া বাড়ি-ঘরে তল্লাশি চালাতে শুরু করেছেন। সেখানে চিকিৎসাসামগ্রী, হাসপাতালসহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রীর অপ্রতুল হওয়ায় জনগণকে বেশ মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে। আওয়ারান জেলার বেশির ভাগ মানুষই ভূমিকম্পের কারণে বাস্তুহারা হয়ে পড়েছেন। দালবাদি নামক একটি গ্রামের ৩০০ মাটির দেয়াল নির্মিত বাড়ি ধসে পড়েছে। নূর আহমেদ নামের এক ব্যক্তি ভূমিকম্পের সময় বাড়ির বাইরে কাজে ছিলেন। ভূমিকম্পের পর বাড়িতে এসে দেখেন সেটা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে আর তার স্ত্রী এবং ছেলে মারা গেছেন। তিনি বলছিলেন, আমি একেবারে শেষ হয়ে গেছি। আমার গোটা পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে।