বিনিয়োগ ও ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে দুবাই
এবছরের গ্লোবাল ওয়েল্থ মাইগ্রেশন রিপোর্ট বলছে শুধু দুবাইতে কোটিপতির সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। আমিরাতে এ সংখ্যা ২ সহস্রাধিক। লসএ্যাঞ্জেলস, মেলবোর্ন, মিয়ামি, নিউ ইয়র্ক, সিডনি, সানফ্রান্সিসকো’র চেয়ে আমিরাতে কোটিপতির হার বেশি। আমিরাতে কোটিপতির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে দেশটির বাইরে থেকে নাগরিকদের ফিরে এসে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশের সাফল্য। চলতি বছরে অন্তত ২ হাজার স্থানীয় ও বিদেশি উদ্যোক্তা আমিরাতে এসেছেন যা নতুন এক গবেষণায় পাওয়া গেছে।
দি গ্লোবাল ওয়েলথ মাইগ্রেশন রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে গত বছর আমিরাতে তার আগের বছরের তুলনায় কোটিপতির হার বৃদ্ধি পেয়েছে ২ শতাংশ। গবেষণা বলছে, দুবাইতেই গত বছর ১ হাজারের বেশি কোটিপতি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের বিকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন। এধরনের উদ্যোক্তা বিকাশে অন্যতম সহায়ক হচ্ছে উপর্যুপরি বিনিয়োগ ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ যা উদ্যোক্তাদের আমিরাতমুখী হয়ে জীবনযাত্রায় নেতৃত্ব দিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মেদ বিন রাশিদ আল মাখতোম বলেন, বিনিয়োগ ও ব্যবসার অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে আমিরাত।
দি গ্লোবাল ওয়েলথ মাইগ্রেশন রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে বিনিয়োগ ও ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে দুবাই। নিরাপত্তার সাথে খ্যাতির শীর্ষে উঠে যাওয়ার সন্ধানে শুধু দেশটির নাগরিক নয়, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্যেও বাসস্থান থেকে শুরু করে বিনোদন সহ মৌলিক চাহিদা পূরণে সকল ধরনের নির্ভরযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন দেশ হয়ে উঠেছে আমিরাত। নতুন বিনিয়োগ ও ব্যবসার অনুপ্রেরণা ও তা গঠনের জন্যে দুবাই আন্তর্জাতিক যোগাযোগেও সবার কাছে অনন্য ও অগ্রগামী হিসেবে বিবেচ্য। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ ৮ হাজার কোটিপতি নতুন বিনিয়োগের সন্ধানে অন্যত্র গিয়েছেন। এর আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৯৫ হাজার। গত বছর সবচেয়ে বেশি কোটিপতি উদ্যোক্তা (১৫ হাজার) চীন থেকে অন্যদেশে গিয়েছেন।