‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’ প্রত্যাখ্যান করলেন আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা
আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করেছেন। মিশরের রাজধানী কায়রোয় রোববার আরব লীগের এক জরুরি বৈঠক থেকে মার্কিন সরকারের ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’ প্রত্যাখ্যান করেন। আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যতদিন ফিলিস্তিনি জনগণের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সুযোগ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত না হবে ততদিন আমেরিকার পক্ষ থেকে উত্থাপিত ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’ মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
বিবৃতিতে বায়তুল মুকাদ্দাসকে (জেরুসালেম) রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমান্ত নিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রতি আরব লীগের সমর্থনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সকল ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার এবং ইসরাইলি কারাগারে আটক সকল ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপদে অর্থ সরবরাহ করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে কথিত শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘শতাব্দির সেরা চুক্তি’ নামের একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। ওই পরিকল্পনায় মুসলমানদের প্রথম কিবলাসমৃদ্ধ নগরী বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছে হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে।
সেইসঙ্গে ওই পরিকল্পনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অধিকার কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি বলা হয়েছে, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার যতটুকু এলাকা বর্তমানে ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ততটুকু স্থান নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে ফিলিস্তিনি জাতিসহ আন্তর্জাতিক সমাজ ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা।