২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন মিসরের সিসি
মিসরের সামরিক জান্তা আবদুল ফাতাহ আল সিসি ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় বন্দোবস্তো করে নিয়েছেন। সংবিধান পরিবর্তন করে তিনি ক্ষমতায় থাকার পথ সুমগ করলেন। বুধবার দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সংবিধান পরিবর্তন বিষয়ক গণভোটে শতকরা প্রায় ৮৯ শতাংশ ভোট পড়েছে সিসির ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে। আর মোট ভোট পড়েছে ৪৪ শতাংশ।
মিসরের সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর। তবে বুধবারের সংবিধান সংশোধনের ফলে বর্তমান মেয়াদকে ছয় বছরে উত্তীর্ন করা হয়েছে। যার ফলে এই মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে। এরপর আরো এক মেয়াদে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। অর্থাৎ ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রেসডেন্ট হিসেবে বহাল থাকতে আর কোন বাধা রইলো না সিসির।
২০১৩ সালে মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান সিসি। পরবর্তী কয়েক বছর দেশটির বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপর চলে ব্যাপক দমন-নির্যাতন। হাজার হাজার ব্রাদারহুড নেতা-কর্মীকে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী।
আরব বসন্তের রেশ ধরে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক হুসনে মোবারকের পতনের পর গণতন্ত্র ফেরে দেশটিতে। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাত্র দেড় বছরের মাথায় অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান সিসি। সেই থেকে কারাগারে বন্দি প্রেসিডেন্ট মুরসি, ব্রাদারহুড প্রধান মোহাম্মদ বদিউসহ সহস্রাধিকে নেতাকর্মী। তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলায় মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছেন, এসব মামলার সবাই রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত।