বাংলাদেশী খাবারের টানে প্রথা ভাঙ্গলেন লর্ড মেয়র

২৪ বর্গ কিলোমিটারের আয়তন জুড়ে দ্বীপ শহর পোর্টসমাউথ। একটি উজ্জ্বল দিন। তবে সেদিনটি যে শুধুই বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট আকাশের হবে, সেটি অনেকেই অনুমান করেননি। কিন্তু দিনটি, জাঁকজমকপূর্ণ উপলক্ষটি ‘আকাশের’ হয়েছিল।
পোর্টসমাউথের আকাশের সব শেফই বাংলাদেশী। যে সে নয়, খোদ শহরটির লর্ড মেয়র দীর্ঘকালের প্রথা ভেঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোজসভার ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করলেন। শহরটির প্রভাবশালী পত্রিকা দি নিউজে ফলাও করে আকাশ-এর বাংলাদেশী মেনু ও তার সুস্বাদু রান্নার বয়ান ছাপা হয়েছে। দি নিউজের সাংবাদিক কিম্বারলি বারবারা লিখেছেন, লর্ড মেয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেলিগেটদের সম্মানে দেয়া ভোজসভায় এই প্রথম বহিরাগত ক্যাটারারকে আমন্ত্রণ জানালেন। তিনি প্রটোকল ও ট্রাডিশন দুটোই ভেঙ্গেছেন।

অ্যালবার্ট রোডের সাউথ সি-তে ‘‘আকাশ’’ জাকিয়ে বসেছে। লর্ড মেয়র লি মেসন দ্বারা তারা আমন্ত্রিত হওয়ার পর পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ ভোজে বাংলাদেশী কোর্স নির্বাচন করেন।
আকাশ এর পক্ষে ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘লর্ড মেয়র ও তার অতিথিদের জন্য রান্না করা ছিল বিশাল সুযোগ। লর্ড মেয়র প্রটোকল ও ঐতিহ্য ভেঙ্গে ফেলার বিষয়টি আমাদের স্নায়ুর উপর বিরাট একটা চাপ ফেলেছিল, কিন্তু এটি নিসন্দেহে একটি উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতা ছিল।
আমার ভাই জাফর এবং আমি আমাদেরকে যেভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, তাতে আমরা ধন্য ও বিনম্র। উপরন্তু আমরা আবার উভয়ে পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। তাই এভাবে অনুষ্ঠানকে সমর্থন করতে পারাটা ছিল, আমাদের জন্য অনেক কিছু। কিম্বারলি বারবারা লিখেছেন, পোর্টসমাউথ শহরটি বাংলাদেশের একটি পূর্বাঞ্চলীয় শহর সিলেটকে বিনা সুতায় বেধেছে। আকাশের সব শেফ বাংলাদেশের, সেটা ওই বাঁধনকে করেছে দ্বিগুণ। মেয়র মি. লি মেসন বলেন, খাবারটি উজ্জ্বলতর হয়ে আমাদের সামনে ধরা দিয়েছিল, এবং টিমটি আমাদের উত্তমরূপে ভোজন করাতে পেরেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস চ্যাং বলেন, পোর্টসমাউথ যে কাজ করছে সেটা এবং বাংলাদেশী সম্প্রদায় যেভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে, আমরা তাকে মূল্যবান বলে মনে করি।’

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button