ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে প্রিন্স উইলিয়াম
নিউজিল্যান্ডকে বদলে দেয়া ছিল মসজিদে হামলার লক্ষ্য: প্রিন্স
নিউজিল্যান্ডে সফর করছেন প্রিন্স উইলিয়াম। দেশটিতে সফরের দ্বিতীয় দিনে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে গেছেন তিনি। গত মাসে ক্রাইস্টচার্চের ভয়াবহ হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন এবং মুসলিম কমিউনিটির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে লোকজনের সঙ্গে আলাপকালে প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, আপনারা দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে ঘৃণার জবাবে ভালোবাসতে হয়। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে নৃশংস হামলার লক্ষ্য ছিলো, নিউজিল্যান্ডকে বদলে দেয়া। কিন্তু এর ফলে কিউইদের সহমর্মিতা আর ভালোবাসার অন্য এক দেশকে চিনেছে বিশ্ববাসী।
গতকাল শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের হাসপাতালেও সফর করার কথা প্রিন্স উইলিয়ামসের। গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে ভয়াবহ হামলায় ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আরও পাঁচজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সঙ্গে দেখা করবেন প্রিন্স উইলিয়াম। যেখানে হামলা চালানো হয়েছিল সেখানেও যাবেন তিনি। যারা ওই হামলা থেকে বেঁচে গেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। একই সঙ্গে মুসলিম কমিউনিটির সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানাবেন তিনি। ক্রাইস্টচার্চের নুর মসজিদে প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। তিনি একটি ক্রিম রংয়ের স্কার্ফ পরা ছিলেন। মসজিদের ভেতরে বক্তব্য রাখেন প্রিন্স উইলিয়াম। সেখানে তিনি বলেন, চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, কিভাবে ঘৃণাকে ভালোবাসায় পরিণত করতে হয় তা আপনারা দেখিয়েছেন। গত কয়েক সপ্তাহে আপনারা বিশ্বকে যা শিখিয়েছেন, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আপনাদের পাশে আছি। যারা বেঁচে আছেন তাদের সমর্থন দিয়ে যাব আমি। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রিন্স উইলিয়াম।
হামলায় নিহত হাসনা বেগমের স্বামী ফরিদ আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রিন্স উইলিয়াম। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন আল মসজিদের ইমাম গামেল ফাউদা, জেসিন্ডা আর্ডান, এমপি মেগান উড এবং ক্রাইস্টচার্চের মেয়র লিয়েনে দালজিয়েল। প্রিন্স উইলিয়ামকে দেখতে আল নুর মসজিদের সামনে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। তার নিরাপত্তা বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি আল নুর মসজিদে সফরের সময় ভবনের বাইরে প্রায় ১০ জন ভারি অস্ত্রধারী পুলিশ কর্মকর্তা পাহারায় ছিলেন। -বিবিসি