তাকওয়া অর্জনের জন্য সর্ব প্রকার গুনাহ বর্জনের অঙ্গীকার করতে হবে
ইউকে জমিয়তের রামাদ্বানের তাৎপর্য ও যাকাত কন্ফারেন্স অনুষ্ঠিত
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের উদ্যোগে রামাদ্বানের তাৎপর্য ও মাসায়েলে যাকাত শীর্ষক জরুরি আলোচনা সভা ও ওয়াজ মাহফিল গত ২৭ এপ্রিল শনিবার ফোর্ড স্কয়ার এশাআতুল ইসলাম মসজিদ লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের সভাপতি মাওলানা শুয়াইব আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও জেনারেল সেক্রেটারি হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা শায়খ আসগর হোসাইন। যাকাত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পেশ করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের সিনিয়র সহ সভাপতি বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুফতি আবদুল মুনতাকিম। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের ট্রেজারার ও লন্ডন মহানগর জমিয়তের সভাপতি হাফিজ হোসাইন আহমদ বিশ্বনাথী, ইউকে জমিয়তে জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা শামসুল আলম কিয়ামপূরী, সাংগঠনিক সম্পাদ মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ, তাফসিরুল কোরআন বিষয়ক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা মুশতাক আহমদ, যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ রিয়াজ আহমদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা সৈয়দ হোসাইন আহমদ, সহকারী প্রচার সম্পাদক হাফিজ মাওলানা রশিদ আহমদ ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ জিয়াউদ্দিন প্রমুখ।
রামাদ্বানের তাৎপর্য নিয়ে আলোচোনায় বক্তারা বলেন যে রোজা সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি, যাতে তোমরা আল্লাহভীরু হতে পারো, পরহেজগার হতে পারো। এ আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি, রোজার বিধান দেওয়া হয়েছে তাকওয়া অর্জনের জন্য, গুনাহ বর্জন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জান্নাতের উপযোগী হওয়া, নিজেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য।
রমজান মাসের রোজা পালনকে ফরজ আখ্যায়িত করে আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, রমজান মাস যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে আর এ কোরআন মানবজাতির জন্য পথের দিশা, সৎপথের সুস্পষ্ট নিদর্শন, হক বাতিলের পার্থক্যকারী। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাসটি পাবে সে এতে রোজা রাখবে, যদি সে অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা সফরে থাকে, সে পরবর্তী সময়ে গুেন গুনে সেই পরিমাণ দিন পূরণ করে দেবে। আল্লাহ্ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য কঠিন করতে চান না, যাতে তোমরা গণনা পূরণ করো এবং তোমাদের হিদায়াত দান করার দরুন আল্লাহর মহত্ত্ব বর্ণনার পর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো।
রোজার প্রতিদান সম্পর্কে বক্তারা বলেন, হজরত মুহাম্মদ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। সিয়াম এবং কোরআন হাশরের ময়দানে বান্দা–বান্দীর জন্য সুপারিশ করবে এবং আল্লাহ্ তাআলা তঁাদের উভয়ের সুপারিশ কবুল করবেন। মানুষের প্রত্যেক আমলের সওয়াব দশ গুণ হতে সাত শত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ্ তাআলা বলেন, ‘রোজা এ নিয়মের ব্যতিক্রম, কেননা তা বিশেষভাবে আমার জন্য আমি স্বয়ং তার প্রতিদান দেব, বান্দা তার পানাহার ও কামনা–বাসনাকে আমার সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করেছে।
আলোচক গন বলেন আমাদের কে তাকওয়া অর্জনের জন্য রোজা রেখে সর্ব প্রকার গুনাহ বর্জনের অঙ্গীকার করতে হবে।
সৈয়দ নাঈম, লন্ডন