শির্ক আর বেদআতের ব্যাপক চর্চার মধ্য দিয়ে হযরত শাহজালাল(রহ:) মাজারে ওরস সম্পন্ন
শির্ক আর বেদাত এর ব্যাপক চর্চার মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের অন্যতম ইসলাম প্রচারক হযরত শাহজালাল (রহ:)মাজারে দু’দিন ব্যাপী তথাকথিত ওরস সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার ফজরের পূর্বে আখেরী মোনাজাত করা হয়।বৃহস্পতিবার দিনে ও রাতে মাজারীরা ব্যান্ডের তালে তালে নেচে গেয়ে গিলাফ চড়ান। এসময় দরগাহ এলাকায় ছিলো ভক্তদের প্রচন্ড ভীড়। সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ ও আশপাশ এলাকায় ভক্তদের রাখা যানবহনে ঠাসা ছিলো। পূর্ব দরগাহ গেইটসহ সবকটি গেটের পাশে ছিল প্রচন্ড যানজট।
হক্কানী আলেমদের মতে মৃত কোনো মানুষের কবরকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজার মতো ওরস পালন করা ইসলাম ধর্ম সমর্থন করেনা এবং এটি ইসলাম ধর্মের কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়। এসব কর্মকান্ড রীতিমত বেদাত ও শির্ক। যে কোন মানুষ মারা যাবার পর তার কোন ক্ষমতা থাকেনা। তিনি কাউকে কিছু দিতে পারেননা এবং টাকা পয়সা কিছু নিতেও পারেন না। তার পরও মাজারের ধর্মব্যবসায়ীরা নানা কল্পকাহিনী প্রচার করে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষদের মাজারে টাকা পয়সা দান করতে উৎসাসাহী করে থাকে।
হযরত শাহজালাল (রহ:)মাজারে দু’দিন ব্যাপী তথাকথিত ওরস উপলক্ষে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা আয় হয় যা ধর্ম ব্যবসায়ীরা ভাগ-বাটোরা করে নিয়ে যায়।