মরুগোলাপ সদৃশ কাতার ন্যাশনাল মিউজিয়াম
নিজাম উদ্দীন সালেহ: অত্যাধুনিক ‘ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব কাতার’ চালু হওয়ার পর পরই সাড়া জাগিয়েছে দর্শনার্থীদের মাঝে। চলতি বছর ২৮ এপ্রিল জাদুঘরের দ্বার খুলে দেয়া হয় দর্শনার্থীদের জন্য। মাত্র এক মাসে ১ লাখ ৩২ হাজার দেশী-বিদেশী দর্শনার্থীর আগমন হয়েছে এই মিউজিয়াম বা জাদুঘরে। মিউজিয়ামের ডিজাইনার ফরাসী স্থপতি জীন নোভেল। মরুভূমির গোলাপ ফুলের আদলে এটা তৈরী। এই মিউজিয়ামে অডিও ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা ‘ডিজিটাল প্রদর্শনী, ঐতিহাসিক’ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সমূহ এবং ইমেনসিভ ও মাল্টি সেন্সরী অ্যাপ্রোচ সুবিধা বিদ্যমান।
কাতারের সামুদ্রিক ঐতিহ্য ব্যাপক। তাই এই মিউজিয়ামে হাতে তৈরী কাঠের নৌকা স্থান পেয়েছে- যা এক সময় ছিলো কাতারী জীবনযাত্রার প্রাণপ্রবাহ। এসব নৌকা মাছ ধরা, ব্যবসা বাণিজ্য এবং মূল্যবান মুক্তা সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত হতো। দর্শনার্থীরা এই মিউজিয়ামে বিশ্ববিখ্যাত বারোদার মুক্তার কার্পেট দেখতে পাবেন। এই কার্পেট তৈরীতে ১৫ লাখ মুক্তো ব্যবহৃত হয়েছে। এই মিউজিয়ামে একটি ২২০ আসনের অডিটোরিয়াম রয়েছে। এখানে রয়েছে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য রিসার্চ সেন্টার এবং ল্যাবরেটারী সমূহ। রয়েছে রুফটপ রেস্তোরাঁও চমৎকার পার্ক।
মিউজিয়াম ভবনটি একটি ৩৫০ মিটার দীর্ঘ বিল্ডিং-যা গোলাপের আকৃতি বিশিষ্ট। ভবনটি অত্যন্ত এনার্জি এফিশিয়েন্ট। যে সব ডিস্ক দিয়ে ভবনটি তৈরী হয়েছে। সেগুলো ভারী এবং এগুলো এক ধরনের কুশন বিশিষ্ট ব্যারিয়ার সৃষ্টি করেছে, যা সুরক্ষামূলক ছায়া প্রদান করে। এতে অনেকগুলো উন্মুক্ত পথ ও গুটিকয়েক জানালা রয়েছে। সূর্যালোক সরাসরি এখানে প্রবেশ করতে না পারায় এক ধরনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে- এতে হ্রাস পেয়েছে ব্যয়। এখানে গোলাপের পাঁপড়ি সদৃশ ডিস্কের ছায়ায় বিভিন্ন ধরনের আউটডোর অনুষ্ঠান, পরিবেশনা থিয়েটার এমনকি প্রদর্শনী সংশ্লিষ্ট কর্মসূচী অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রয়েছে। ভবনের উপরিভাগ হাই-পারফরম্যান্স গ্লাস ফাইবার রিইনফোর্সড কংক্রিট দিয়ে তৈরী।