আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সহজ জয়
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেসেখেলেই জয় পেল বাংলাদেশ। ২৯৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। সাকিব-তামিমদের এটা হ্যাটট্রিক জয়। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুই ম্যাচে টানা পরাজিত করে মাশাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দলটি। দলের জয়ের ম্যাচে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন লিটন দাস। এছাড়া ৫৭ ও ৫০ রান করেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। তার আগে বোলিংয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন আবু জায়েদ রাহী। এর আগে টাইগারদের বাজে ফিল্ডিং ও পল স্টার্লিংয়ের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৯২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে আয়ারল্যান্ড।
বুধবার ডাবলিনের ক্যাস্টল এভিনিউতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা একাধিক সহজ ক্যাচ মিস করেন। এর সুবাদে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার সুযোগ পায় স্বাগতিক আইরিশ ক্রিকেট দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩০ রান করেন স্টার্লিং। তার ইনিংসটি ১৪১ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা সাজানো। এছাড়া ১০৬ বলে সাতটি চার ও ২টি ছক্কায় ৯৪ রান করেন অধিনায়ক পোটরফিল্ড। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৯ ওভারে ৫৮ রান খরচ করে ৫ উইকেট শিকার করেন আবু জায়েদ রাহী। এছাড়া দুই উইকেট নেন সাইফউদ্দিন।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ষষ্ঠ ম্যাচে জিততে হলে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দলকে ২৯৩ রান করতে হবে। যদিও সিরিজে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী পরশু শুক্রবার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরির করে মাঠেই সিজদা দিলেন পল স্টারলিং। তার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার পুঁজি পায় স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের ৪২তম ওভারে সাইফউদ্দিনের বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন পল স্টারলিং।
১২৭তম বলে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি করেন আয়ারল্যান্ডের এই ওপেনার। এর আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেদারল্যান্ডস, কানাডা ও আরব আমিরাতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন পল স্টারলিং।
বুধবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রুবেল হোসেনের গতির মুখে পড়ে আয়ারল্যান্ড। দলীয় ২৩ রানে ওপেনার জেমস ম্যাককলামকে লিটন দাসের ক্যাচে পরিনত করেন রুবেল।
এরপর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা অ্যান্ডি বালবিরনিকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন আবু জায়েদ রাহী। মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ২০ রান করে ফেরেন বালবিরনি। আগের ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩৬ রান করেন আইরিশদের এই তারকা ক্রিকেটার।
৫৯ রানে দুই উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ডকে খেলায় ফেরান পল স্টারলিং ও উইলিয়াম পোটরফিল্ড। তৃতীয় উইকেটে দেশের হয়ে রেকর্ড ১৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। আর এই রেকর্ড জুটি গড়তে সহযোগিতা করেন টাইগাররা ফিল্ডাররা।
একাধিক ক্যাচ মিস করার কারণে পল স্টারলিং সেঞ্চুরির সুযোগ পান। তবে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও হোচট খান আইরিশ অধিনায়ক পোটরফিল্ড। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন আবু জায়েদ রাহী। তার গতির বলে ক্যাচ তুলে দেন আইরিশ অধিনায়ক। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১০৬ বলে সাতটি চার ও দুটি ছক্কায় ৯৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন পোটরফিল্ড।
এরপর সময়ের ব্যবধানে আয়ারল্যান্ডের উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হন টাইগাররা। মাত্র ৩ রান করেই রাহীর তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন কেভিন ওব্রায়েন। ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি করা স্টারলিংকে প্যাভেলিয়নে ফেরান সেই রাহী। তার আগে খেলেন ১৪১ বলে আট চার ও চার ছক্কায় ১৩০ রানের ঝকঝকে ইনিংস। শেষ দিকে আর প্রতিরোধ গড়তে না পারায় ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯২ রানে থামে আয়ারল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৯২/৮ (স্টার্লিং ১৩০, পোটরফিল্ড ৯৪; রাহী ৫/৫৮, সাইফউদ্দিন ২/৪৩)।