ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ
যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রক্ষণশলী দলের বরিস জনসনের পক্ষে কথা বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটেনের রাজনীতিতে ‘হস্তক্ষেপ’ করেছেন বলে অভিযোগ যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিনের। ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। চলতি সপ্তাহে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ব্রিটেন আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে সান সংবাদপত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনসন সর্ম্পকে বলেছেন, “আমি মনে করি বরিস খুব ভালো কাজ করবে। আমি মনে করি সে চমৎকার হবে।”
যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে শামিল অন্য রক্ষণশীল নেতারাও তার সমর্থন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু ব্রিটিশ পরিবেশমন্ত্রী মাইকেল গোভ তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম এবং তিনি ইরান প্রশ্নে তার অবস্থানের সমালোচনা করেছেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের সফরের সময় তার সম্মানে দেয়া রাষ্ট্রীয় ভোজে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন অভিজ্ঞ সমাজতন্ত্রী রাজনীতিক লেবার দলীয় নেতা করবিন। তিনি বলেছেন, “কে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্যোগ আমাদের দেশের গণতন্ত্রে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য একটি হস্তক্ষেপ।” শনিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, “একটি সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ জনগণের মাধ্যমে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়া উচিত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বা রক্ষণশলী দলের অপ্রতিনিধিত্বশীল সদস্যদের মাধ্যমে নয়।”
আগামী ৭ জুন ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। পরপর তিনবার তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় পার্লামেন্টের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত জানান মে। এতে রক্ষণশীল দলের পরবর্তী প্রধান হিসেবে ব্রিটেনের পরববর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত হয়ে যায়। এ পর্যন্ত ব্রিটিশ রক্ষণশীল দলের ১২ জন পার্লামেন্ট সদস্য জানিয়েছেন তারা নেতৃত্ব বাছাইয়ের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রক্ষণশীল দলীয় অন্যান্য পার্লামেন্ট সদস্যরা এদের মধ্যে দুই জনকে বাছাইয়ের পর দলটির তৃণমূল সদস্যরা তাদের মধ্যে একজনকে নেতা হিসেবে বেছে নিবেন। রানি এলিজাবেথের আমন্ত্রণে সোমবার এক রাষ্ট্রীয় সফরে ব্রিটেনে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এখান থেকে তার ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার কথা রয়েছে। এটি ব্রিটেনে যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্টের তৃতীয় রাষ্ট্রীয় সফর।