ইউরোপজুড়ে চলছে তীব্র তাবদাহ, সতর্কতা জারি
ইউরোপজুড়ে চলছে তীব্র তাবদাহ। মহাদেশটির বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। জার্মানি, পোল্যান্ড ও চেক রিপাবলিকে বুধবার জুন মাসের তাপমাত্রার সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। আসছে দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও বাড়ার পূর্বাভাস থাকায় পূর্ববতী অনেক রেকর্ডই সামনে ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ডসহ আরও বেশ কিছু দেশে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, উত্তর আফ্রিকা থেকে বয়ে আসা গরম বাতাসের কারণেই ইউরোপজুড়ে তীব্র তাপদাহ চলছে। তীব্র গরমে প্রাণহানি হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ।
২০০৩ সালে তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়েছিল ফ্রান্স। সেসময় ১৫ হাজার লোকের মৃত্যুর জন্য তাপদাহকে দায়ী করা হয়েছিল। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। তীব্র গরমে বাসিন্দাদের কীভাবে চলতে হবে তা বার বার জানিয়ে দিচ্ছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
তাপদাহের কারণে বেশ কিছু এলাকায় দাবানলের ঝুঁকি আছে বলে স্পেনের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন। বুধবার জার্মানির ব্রান্ডেনবুর্গের কশেন এলাকার তাপমাত্রার পারদ ৩৮ দশমিক ৬ সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। দেশটিতে জুন মাসে এটি নতুন রেকর্ড। পোল্যান্ডের রাজিনে ৩৮ দশমিক ২ ও চেক রিপাবলিকের ডোকসানিতে ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পারদ উঠেছিল। দুটি দেশেই এটি নতুন রেকর্ড। ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি অংশেও স্থানীয় তাপমাত্রার সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে।
আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকে কোনো কোনো এলাকার তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা। শুক্রবার স্পেনের উত্তরপূর্বাঞ্চলের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
তীব্র গরমের কারণে ফ্রান্সের কিছু স্কুলে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কিছু কিছু স্কুল বন্ধও রাখা হয়েছে। প্যারিস, লিওনের মতো কয়েকটি শহরে তাপদাহের এ সময়টিতে যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য এ তীব্র তাপদাহ এড়াতে পারলেও লন্ডনসহ দেশটির কয়েকটি অংশের তাপমাত্রা শনিবার ৩০ সেলসিয়াসে উঠতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে তীব্র এ তাপদাহের কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন পরিবেশবিদরা।