তীব্র তাপদাহে স্পেনে দাবানল
অতিরিক্ত তাপমাত্রায় পুড়ছে ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড ও স্পেনসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশ। এরই মধ্যে ভয়াবহ দাবনল ছড়িয়ে পড়ছে স্পেনে। যা নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। আজ শুক্রবার (২৮ জুন) এমন তথ্যই জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় তারাগোনা শহরের প্রায় ১০ হাজার একর বন এলাকাজুড়ে ভয়াবহ এ দাবানল ছড়িয়ে যাচ্ছে। ইউরোপীয় অঞ্চলের অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে তারাগোনার বন এলাকার সারের স্তুপ থেকেই এ আগুনের উৎপত্তি বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। এটি নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।
দেশটির কাতালান অঞ্চল কর্তৃপক্ষের ধারণা অনুযায়ী, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ওই বন এলাকায় স্তুপ হয়ে পড়ে থাকা সারে আগুন ধরে যায়। এর থেকেই এ দাবানলের সূত্রপাত। মার্কিন জাতীয় উদ্যানের মতে, তাপমাত্রা অতিরিক্ত হলে খড় কিংবা বিভিন্ন ধরনের সারের মতো অগ্নিদাহ্য বস্তুতে আগুন ধরে যায়। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভয়াবহ এ দাবানল এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে অন্তত ৫৩ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কাতালান অঞ্চলের দমকল বাহিনী জানায়, প্রায় ৩৫০ জন দমকলকর্মী দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ১২টি ফায়ার ইঞ্জিন এবং পানি ভর্তি ট্যাঙ্ক রয়েছে। এছাড়া সাতটি প্লেন, দুইটি হাইড্রোপ্লেনসহ আগুন নিয়ন্ত্রণের আরও ভারী যন্ত্রপাতিও রয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে বসবাসরতদের ঘরেই থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। দমকলকর্মীরা জানায়, বিগত ২০ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল। বর্তমানে চলমান এ তাপমাত্রার কারণে দাবানলের আগুন বেড়ে আরও দ্বিগুন অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এছাড়া পাশ্ববর্তী দেশ ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে জারি করা হয়েছে ‘রেড অ্যালার্ট’। পাশাপাশি দেশটির বেশিরভাগ এলাকাতেই জারি রয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’।
দক্ষিণ ফ্রান্সের গার্দ, ভওক্লুজ, হেরল্ট ও বুঁজ-দু-হোন এলাকায় তাপমাত্রা বেড়ে ৪২ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ মাসেই জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র- দেশগুলোতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তর আফ্রিকা থেকে বয়ে আসা উষ্ণ বাতাসই এ তাপদাহের জন্য দায়ী বলে জানিয়েছেন দেশটির আবহাওয়াবিদরা।