ফ্লাইটে জমজমের পানি ‘নিষিদ্ধ’ করে ক্ষমা চাইল এয়ার ইন্ডিয়া
ফ্লাইটে জমজমের পানি বহন করা যাবে না সিদ্ধান্ত জানানোর পর সমালোচনার মুখে তা প্রত্যাহার করে ক্ষমা চেয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। এর আগে সৌদি আরবের জেদ্দা ও ভারতের কয়েকটি শহরের মধ্যে চলাচলকারী দুটি ফ্লাইটে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জমজমের পানি বহন করা যাবে না বলে চলতি মাসের প্রথমদিকে দেওয়া এক নোটিশে জানিয়েছিল ভারতের পতাকাবাহী এয়ারলাইনটি।
গতকাল মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া এক সংশোধনীতে এয়ারলাইনটি বলে, “এআই৯৬৬ ও এআই৯৬৪ এ জমজম ক্যান বহন না করার বিষয়ে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল তা সংশোধন করে যাত্রীরা অনুমোদনযোগ্য লাগেজের সঙ্গে জমজম ক্যান বহন করতে পারবেন বলে জানাচ্ছি আমরা। যে অসুবিধা তৈরি হয়েছিল তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”
ট্র্যাভেল এজেন্ট ও হজযাত্রীদের দেওয়া আগের ওই নোটিশে এয়ার ইন্ডিয়া তাদের জেদ্দা-হায়দ্রাবাদ-মুম্বাই ও জেদ্দা-কোচিন ফ্লাইটে জমজমের পানি বহন করা যাবে না বলে জানিয়েছিল। চলতি মাসের ৪ তারিখে এয়ার ইন্ডিয়ার জেদ্দা কার্যালয় থেকে নোটিশটি ইস্যু করা হয়েছিল বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে। ইস্যু করার পর থেকেই নোটিশটি ভাইরাল হয় এবং অনেক হজযাত্রী ও ট্যুর অপারেটর উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
“উড়োজাহাজ পরিবর্তন করায় ও সীটের সংখ্যা সীমিত থাকায় ফ্লাইটে জমজমের ক্যানগুলো নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না,” ওই নোটিশে এমনটি বলা হয়েছিল। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য অনেক হজযাত্রী কংগ্রেস দলীয় এমএলএ আমিন প্যাটেল কাছে যাওয়ার পর তিনি ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি লিখে হাজীদের জমজমের পানি বহন করার অনুমতি দিতে এয়ার ইন্ডিয়াকে নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করেন।
এর পাশাপাশি ভারতের হজ কমিটির প্রধান নির্বাহী এমএ খান জানান, হজ থেকে ফেরা প্রত্যেক যাত্রীকে জমজম পানির পাঁচ লিটারের ক্যান বহন করতে দিতে এয়ার ইন্ডিয়া বাধ্য। “এটি এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে হজ কমিটির স্বাক্ষরিত চুক্তির অংশ’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।