নতুন ব্রেক্সিট এ গণভোটের ডাক লেবার পার্টির
যুক্তরাজ্যে ব্রেক্সিট প্রশ্নে নতুন গণভোটের ডাক দিয়ে প্রধান বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর এ পদক্ষেপ নেয়াই উচিত হবে। আর সে গণভোটে লেবার পার্টি ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের থাকার পক্ষে প্রচার চালাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। করবিন বলেছেন, ‘চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট কিংবা ক্ষতিকর টোরি ব্রেক্সিট’ ঠেকাতেই তার দল এ অবস্থান নেবে।
তবে সাধারণ নির্বাচনে করবিন জয়ী হলে এবং ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার দায়িত্ব পেলে তখন তিনি কি করবেন তা বলেননি। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন করবিন ইইউ’য়ে যুক্তরাজ্যের থাকার পক্ষে অবস্থান নিন- এমনটিই চান পার্টির কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সদস্য। মঙ্গলবার দলের সদস্যদের কাছে লেখা এক চিঠিতে করবিন রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, “ব্রেক্সিট চুক্তি হোক বা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট- সে প্রশ্নকে আবার পাবলিক ভোটে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আত্মবিশ্বাস দেশের ক্ষমতাসীন দলের নতুন নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর থাকা উচিত।”
“আর আমি স্পষ্টতই বলছি, সেই পরিস্থিতিতে লেবার পার্টি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট কিংবা ক্ষমতাসীন দলের ব্রেক্সিট চুক্তি যাতে অর্থনীতি এবং চাকরির বিষয়টি সুরক্ষিত নেই তার বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে ইইউ’য়ে যুক্তরাজ্যের থাকার পক্ষে অবস্থান নেবে।” করবিন সেপ্টেম্বরেই পার্লামেন্টে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের দাবি তুলবেন বলে জানান।
যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র উত্তরসূরি হওয়ার লড়াই চলছে। এ দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। জয়ী প্রার্থী এ মাসের শেষেই দায়িত্ব নেবেন। এরপর ব্রেক্সিট চুক্তিতে সমর্থন লাভের জন্য নতুন প্রধানমন্ত্রী সময় পাবেন মাত্র তিন মাস। ৩১ অক্টোবরে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। টেরিজা মে তিন দফায় তার ব্রেক্সিট চুক্তিতে পার্লামেন্টের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়ে পরে গত মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। তবে ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্রেক্সিটের সময় বাড়িয়ে নিতে পেরেছেন তিনি। নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত টেরিজা প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকলেও ব্রেক্সিট প্রশ্নে তার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।