তথ্যের গোপনীয়তা না থাকায় থেরেসা মের হতাশা
যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক টানাপড়েন
ফাঁস হওয়া ই-মেইল নিয়ে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র টানাপড়েনের মধ্যে ওয়াশিংটনে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কিম ডেরকের পদত্যাগ নিয়ে এখন সরগরম কূটনৈতিক অঙ্গন। ডেরেক কোনোভাবেই আর দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না জানিয়ে পদত্যাগের পর, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এই পদত্যাগের ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন। সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্যের গোপনীয়তা না থাকায় হতাশাও প্রকাশ করেছেন মে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান
ডেরেকের পদত্যাগের বিষয়টি পার্লামেন্টে নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এ ঘটনাকে দুঃখজনক মন্তব্য করে বলেন। বলেন, ডেরেকের পদত্যাগ অপ্রত্যাশিত। থেরেসার ভাষায়, ‘আমরা সবাই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিলাম, তারপরও তিনি জানালেন তার পক্ষে আর দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়। তিনি যুক্তরাজ্যের জন্য সারাজীবন দায়িত্ব পালন করে গেছেন, তার সম্মানজনক বিদায় কাম্য। সুশাসন নির্ভর করে সরকারি কর্মকর্তারা কতটুকু মুক্ত পরামর্শ দিতে পারছেন তার ওপর। আমি আশা করবো তা করার আত্মবিশ্বাস আমাদের কর্মকর্তাদের আছে।’
এদিকে, ডেরেককে পুরোপুরি সমর্থন না দেয়ায় কনজারভেটিভ নেতা বরিস জনসন সমালোচনার মুখে বলেন, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের ই-মেইল ফাঁস হওয়ার ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কনজারভেটিভ দলের অনেক সদস্যই ডেরকের পক্ষে কথা বললেও সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী বরিস জনসন ডেরককে পূর্ণ সমর্থন না দেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। মূলত ট্রাম্পের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকার কারণেই তিনি এ বিষয়ে ডেরকের পক্ষ নেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কিম ডেরক লন্ডনে পাঠানো কিছু ই-মেইলে ট্রাম্প প্রশাসনকে অকর্মা এবং অযোগ্য বলে মন্তব্য করার জবাবে টুইট বার্তায় তার ডেরেকের পাশাপাশি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই রাষ্ট্রদূত যুক্তরাজ্যের জন্য ঠিকমতো কাজ করছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়াও, ব্রেক্সিট ইসু্যতে থেরেসা মে তার পরামর্শ না শুনে নির্বোধের মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই, যুক্তরাজ্য তীব্র সংকটের মুখে পড়েছে বলেও টুইট বার্তায় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।