জব্দ সেই ইরানি ট্যাংকারের ক্রুদের ছেড়ে দিল ব্রিটেন
জিব্রাল্টার প্রণালীতে আটক ইরানি তেলবাহী ট্যাংকারের সব ক্রুকে ছেড়ে দিয়েছে ব্রিটেন। গত ৪ জুলাই আটকে দেয়া ওই জাহাজের ক্যাপ্টেন ও প্রধান অফিসারসহ আটক চার ক্রুকেই শুক্রবার ছেড়ে দেয়া হয়। এক বিবৃতিতে জিব্রাল্টার পুলিশ জানিয়েছে, ইরানি সুপার ট্যাংকার গ্রেস-১ এর চার ক্রুকে শর্তস্বাপেক্ষে জামিন দেয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ওই ট্যাংকারটি ইরান থেকে সিরিয়ায় অশোধিত তেল নিয়ে যাচ্ছে সন্দেহে সেটি জব্দ করে ব্রিটিশ রাজকীয় মেরিন। এরপর থেকে ট্যাংকারটি দ্রুত ছেড়ে না দিলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে তেহরান।
ক্রুদের মুক্তি দিলেও ইরানি সুপার ট্যাংকার গ্রেস-১ এখনও আটকে রেখেছে ব্রিটিশ নৌবাহিনী। ওই জাহাজটির বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার সকালে জিব্রাল্টার পুলিশ জানিয়েছিল, ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেন ও প্রধান অফিসারকে আটকের একদিন পর ট্যাংকারটি থেকে তাদের আরও দুই সহকর্মীকে আটক করা হয়। এই ট্যাঙ্কার আটকের ঘটনায় ব্রিটেনকে ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হতে পারে বলে গত বুধবার হুঁশিয়ার করেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। নিজেদের তেল রফতানি করতে না পারলে নিজেদের উপকূল সংলগ্ন প্রণালীটি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে তেহরান।
২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে তেহরানের স্বাক্ষরিত এক পরমাণু চুক্তি থেকে ওয়াশিংটন বেরিয়ে গেলে এ উত্তেজনা দানা বাধতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইরানের ওপর আগের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছে। যদিও তাদের ইউরোপীয় মিত্ররা এ পথে হাঁটেনি।
ওয়াশিংটন গত মাসে হরমুজ উপকূলের কাছে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে মাইন হামলার জন্য তেহরানকে দায়ী করলেও ইরান তা উড়িয়ে দিয়েছে। কয়েকদিন পর ইরান তাদের ‘আকাশসীমায় অবৈধভাবে ঢুকে পড়া’ একটি মার্কিন ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করলে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়।