পানিতে ভাসমান মসজিদ !
দেখতে মনে হবে সাগরের পানিতে যেন ভাসমান অবস্থায় আছে মসজিদটি। মুসল্লিরাও যেন পানির উপরেই নামাজ পড়ছে। ঢেউয়ের তালে তালে দোল খাচ্ছে মসজিদটি। কাসাব্লাঙ্কা শহরে মসজিদটির নির্মাণ কাজ করেছেন ফরাসি কোম্পানি বয়গিসের প্রকৌশলীরা। আর এর নকশা তৈরি করেছিলেন বাদশা হাসানের ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউ। আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত মসজিদটিকেও ভাসমান মসজিদ হিসেবেই চিনে সবাই। প্রায় একলাখ মানুষ একসাথে নামাজ পড়তে পারে এই মসজিদে। এর মিনারের উচ্চতা ২০০ মিটার! প্রাকৃতিক আলো ও মুক্ত বাতাস প্রবেশ করতে তিন মিনিট পরপর মসজিদের ছাদটি খুলে যায়।
১৯৮৭ সালে এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয় । ২৫ হাজার শ্রমিক ও কারুশিল্পী রাতদিন পরিশ্রম করে সাত বছরে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। বিলাসবহুল এ মসজিদটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে তত্কালীন ৮০ কোটি ডলার। মসজিদটির উদ্বোধন করা হয় ১৯৯৩ সালের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর দিনে।