মুসলিম বিশ্বে প্রশংসিত ইংল্যান্ডের দুই ক্রিকেটার
ইংল্যান্ডকে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা উপহার দেয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে খোশ মেজাজেই সময় কাটিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। ইংলিশ সংস্কৃতি অনুসারে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তেরেসা মেও মদ পান করে শিরোপার উৎসব করেছেন। তবে উৎসবে অংশ নিলেও ইসলামে নিষিদ্ধ হওয়ায় অ্যালকোহল তথা মদপান থেকে বিরত থাকেন ইংল্যান্ডের দুই মুসলিম ক্রিকেটার মঈন আলী ও আদিল রশিদ। তাদের এ কর্মকাণ্ড মুসলমানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মাদকবিরোধী সংগঠন ও স্বাস্থ্য সচেনত মানুষ ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক-টুইটারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তারা উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
এর আগে ২০১৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মঈন আলী ‘সেভ গাজা’ ও ‘ফ্রি ফিলিস্তিন’ লেখা রিস্টব্যান্ডস পরার কারণে মুসলিম বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড তখন মঈন আলীর পক্ষ নিলেও আইসিসি এটাকে ‘মানবিকতার চেয়ে রাজনীতি’ হিসেবেই বর্ণনা করেছিল।
বিশ্বকাপজয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি জাঁকজমকপূর্ণ পার্টির আয়োজন করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। প্রধানমন্ত্রী ভবনে আয়োজিত সেই পার্টিতে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী দলের সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সৌজন্যতা সেরে প্রধানমন্ত্রী নিজের ভেরিফায়েড পেজ টুইটারে লেখেন, এমন একটি ক্রিকেট দল আমরা পেয়েছি, আগামী কয়েক প্রজন্ম যাদের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। দেশের সব মানুষের পক্ষ থেকে বিশ্বকাপজয়ী দলকে অভিনন্দন।
গত রোববার ইংল্যান্ডের লর্ডসে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নেয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। খেলার নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ টাই হয়। সুপার ওভারেও খেলা টাই হয়। তবে মূল ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ৮টি বাউন্ডারি বেশি হাঁকানোয় ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপজয়ী হিসেবে ঘোষণা দেয় আইসিসি।