ট্রাম্পকে বলা সেই ফরিদের বক্তব্যে মুগ্ধ জাসিন্দা
ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ১৭টি দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর হামলায় স্ত্রীকে হারানো ফরিদ আহমেদও ছিলেন। বুধবার আধ ঘণ্টার ওই বৈঠকের সময়ে প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প।
ক্রাইস্টচার্চে অস্ট্রেলীয় শ্বেতাঙ্গ জঙ্গির হামলা থেকে ভাগ্যক্রমে ফরিদ আহমেদ বেঁচে গেলেও তার স্ত্রী হোসনে আরা আহমেদ নিহত হয়েছেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে পেছন থেকে গুলিবিদ্ধ হন ৪২ বছর বয়সী হোসনে আরা। মসজিদে হামলার পর সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়া ও বিশ্বব্যাপী সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোয় ফরিদ আহমেদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দেন।
ওভাল অফিসে নিজের আসনে বসে ট্রাম্প বলেন, মানুষ যদি স্বাধীনভাবে তার ধর্মীয় চর্চা করতে না পারেন, তখন তার সব ধরনের স্বাধীনতাই ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। তার মতো অন্য কোনো প্রেসিডেন্ট ধর্মীয় স্বাধীনতাকে এতো গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বলেও তিনি মনে করছেন না বলে জানান ট্রাম্প। প্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে আপনাদের অনেক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডান বলেন, ফরিদ আহমেদ ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দেয়ায় তিনি অবাক হননি। সেখানে ক্রাইস্টচার্চের ভয়াবহ স্মৃতিচারণ করার কথা ছিল তার। জাসিন্দা বলেন, তিনি একজন ভালোবাসার ও সহানুভূতিসম্পন্ন মানুষ। তারা প্রতিটা আলাপ থেকেই তা বেরিয়ে আসে। কাজেই দেশের বাইরে গিয়েও তিনি তেমনটা করবেন, সেটাই আমি ধরে নিয়েছিলাম। যে কারণে বিশ্বব্যাপী সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোয় ট্রাম্পকে তিনি ধন্যবাদ দেয়ায় আমি অবাক হইনি। কিউই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদ আহমেদ এমন একজন মানুষ, যিনি মানবতাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।