বৃটিশ অর্থনীতির আকার হ্রাস: মন্দার আশঙ্কা
এ বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসে পূর্বের ৩ মাসের তুলনায় যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির আকার ০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এমন উপাত্ত প্রকাশিত হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশটিতে। অবশ্য বৃটিশ অর্থমন্ত্রী, অর্থাৎ চ্যান্সেলর সাজিদ জাভেদ বলেছেন, তিনি মনে করেন না এ কারণে অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেবে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় প্রকাশ করেছে, ২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো অর্থনীতির আকার কমেছে। তবে এই উপাত্ত দেখে অনেকেই বিস্মিত। সবাই স্বীকার করছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে অনিশ্চয়তা ও গাড়ি শিল্পে বেশ কিছু কারখানা বন্ধের কারণেই এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
এই উপাত্ত প্রকাশিত হওয়ার পর বৃটিশ মুদ্রা পাউন্ডের দর আরও কমেছে। ফলে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান দপ্তরের জিডিপি বিভাগের প্রধান রব কেন্ট-স্মিথ বলেছেন, উৎপাদন খাতের আউটপুট হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া নির্মাণ খাতও দুর্বল হয়েছে।
প্রসঙ্গত, টানা দুই ত্রৈমাসিক মেয়াদে অর্থনীতির আকার কমলে তাকে মন্দা বলা হয়। ২০১২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিক মেয়াদে সর্বশেষ যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির আকার কমেছিল। তারপর এবারই প্রথম অর্থনীতি সঙ্কুচিত হলো দেশটির। তবে অর্থনীতিবিদরা আগে থেকে এ ব্যাপারে কোনো পূর্বাভাষ দেননি। তারা ধারণা করেছিলেন যে, অর্থনীতির আকার আগের মতোই থাকতে পারে। এর আগে এ বছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির আকার ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
চ্যান্সেলর জাভেদ অবশ্য বলছেন, তিনি একেবারেই মন্দার আশঙ্কা করছেন না। তার ভাষ্য, ‘আমার মুখের কথা বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই। কোনো নেতৃত্ব স্থানীয় পূর্বাভাষেই বলা হচ্ছে না যে, মন্দা হতে পারে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও তেমনটা মনে করছে না। কারণ তারা জানে অর্থনীতির বুনিয়াদ এখনও শক্ত।’ এর আগে এই মাসের প্রথম দিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, এই বছর দেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১.৩ শতাংশ। এর আগে অবশ্য ১.৫% প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হয়েছিল।