চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে সবকিছু করব: করবিন
চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট আটকাতে কোমর বেঁধে নেমেছেন করবিন। এজন্য তিনি আগামী সপ্তাহে দেশটির অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে বিবিসি’কে জানিয়েছিলেন শ্যাডো চ্যান্সেলর জন ম্যাকডনেল। অন্যদিকে, সোমবার এক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, প‚র্বনির্ধারিত সময় ২৯ মার্চের আগেই চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিষয়ে প্রস্তুতি ‘অনেকদ‚র এগিয়ে গিয়েছিল’। যা তারপর ‘পিছলে কিছুটা পেছনে চলে গেছে’। “আমার নিশ্চিত বিশ্বাস যুক্তরাজ্য অক্টোবরের শেষেই ইইউ ছাড়তে প্রস্তুত থাকবে। কোনো চুক্তি হোক বা না হোক।” “ওই পথে কোনো বাধা থাকবে না, এমনটা আমি ভাবছি না। কিন্তু সবাই যদি এটার উপর সব মনোযোগ দেয়… আমরা প্রস্তুত হতে পারব এবং এটা নিয়ে আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই।” খবরে বলা হয়, ব্রেক্সিট সঙ্কট ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ‘ব্যর্থ’ হয়েছে মন্তব্য করে বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, একটি জাতীয় নির্বাচনই পারে দেশে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদের প্রক্রিয়া (ব্রেক্সিট) নিয়ে যুক্তরাজ্য ‘সঙ্কটের’ মধ্যে আছে এবং দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রয়োজনে ‘কোনো চুক্তি ছাড়াই’ ইইউ’র সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সোমবার লেবার নেতা করবিন বলেছেন, যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট নিয়ে ‘সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে’ এবং চুক্তিহীন ব্রেক্সিট আটকাতে তার দল ‘প্রয়োজনীয় সবকিছু’ করবে। দরকার হলে অনাস্থা ভোটে সরকারের পতন ঘটানো এমনকী সীমিত সময়ের জন্য লেবার একটি সরকার গঠন করবে বলেও করবিন উল্লেখ করেন। আগামী ৩১ অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের ইইউ ছাড়ার কথা। স¤প্রতি যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ‘সানডে টাইমস’-এ সরকারি একটি প্রতিবেদন ফাঁস হয়। তাতে বলা হয়েছে, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে যুক্তরাজ্য খাবার ও ওষুধের সঙ্কটে পড়বে। যদিও কেবিনেটমন্ত্রী মাইকেল গভ বলেছেন, ওই প্রতিবেদনে ‘পরিস্থিতি সবেচেয়ে খারাপ’ হলে কী হতে পরে সে বিষয়ে বলা হয়েছে। নর্দাম্পটনশায়ারে করবিন বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে এমপি’দের আালোচনা শুরুর আগেই নতুন করে পার্লামেন্ট অধিবেশন আহ্বানকে সমর্থন করেন তিনি। “যদি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্টে কোনো আলোচনা ছাড়াই ৩১ অক্টোবরে আমাদেরকে ইইউ থেকে বের করে আনার কোনো কৌশল খাটানোর চেষ্টা করেন তবে এর মাধ্যমে তার ওই কৌশল বানচাল করে দেওয়া যাবে।” যদি সরকার থেকে স্পিকারের কাছে অনুরোধ করা হয় তবে পার্লামেন্ট পুনরায় আহ্বান করা যাবে।