কমেছে বাংলাদেশী এলাকায়

ব্রিটেনে মাদকে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে

ব্রিটেনে মাদক সেবনের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স এর তথ্য মতে ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে মোট ৪ হাজার ৩শ ৫৯ জন মাদক সেবন জনিত কারণে মারা গেছে । যা ২০১৭ সালের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। ১৯৯৩ সালে রেকর্ড রাখা শুরুর পর থেকে এবছরই ওই কারনে সর্বোচ্চচ সংখ্যক মানুষ মৃত্যুবরণ করলো। অন্যদিকে, পরিসংখ্যান মতে বাংলাদেশী অধুষ্যিত টাওয়ার হ্যামলেটসে মাদক সেবন জনিত মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।

২০১৪ থেকে ১৬ সালে টাওয়ার হ্যামলেটসে ৮৬ জন মারা গেলেও ২০১৬ থেকে ১৮ সালে এসে এই সংখ্যা কমেছে। এসময়ে মারা গেছেন ৬৫ জন। ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ের অধ্যাপক এলেক্স স্টিভেনের মতে, কেন্দ্রিয় সরকারের বাজেট কাটের কারণে কাউন্সিলগুলো ২০১৫ থেকে ১৬ সালের পর মাদক সম্পর্কিত চিকিৎসা সেবা ২৭ শতাংশ কমাতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি কোন কোন অঞ্চলে এই সেবা ৫০ শতাংশ কমেছে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ক্ষমতায় এসেই ২০২২ সালের মধ্যে ২০ হাজার পুলিশ অফিসার নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। এর অর্থ হচ্ছে দীর্ঘ ব্যয় সংকোচন শেষে এবং এক যুগ পরে পুলিশের সংখ্যা ২০১০ সালের সমান হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এনএইচএসে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের ঘোষণা দিলেও দেখা গেছে এর অর্ধেক অর্থই নতুন ফান্ডিং নয় এবং বাকী অর্থ কোথা থেকে আসবে এর কোন ব্যাখ্যা নেই। টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস এ ব্যাপারে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ব্যক্তিগত, পারিবারিক তথা কমিউনিটিতে মাদক সেবনের মারাত্মক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। মাদক সেবনজনিত মৃত্যুর নতুন পরিসংখ্যান সত্যিকার অর্থেই দুঃখজনক।

টাওয়ার হ্যামলেটসে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও এই সংখ্যা কমানোর জন্য আমাদের আরো করণীয় রয়েছে। ড্রাগ সংক্রান্ত অপরাধ এবং সেবন কমানোর জন্য পুলিশ, এনএইচএস, স্থানীয় কাউন্সিলসহ অন্যান্য পাবলিক সার্ভিসের মধ্যে সমন্বয় দরকার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলা ব্যয় সংকোচনের কারণে এই সেবায় বিপর্যয় নেমে এসেছে। ডেপুটি মেয়র এবং কমিউনিটি সেইফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার আসমা বেগম বলেন, এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে পাবলিক সার্ভিসের বাজেট কাটের প্রতিক্রিয়া কতটা খারাপ হতে পারে।

পুলিশ এবং এনএইচএসে প্রাইম মিনিস্টার বিনিয়োগের যে ঘোষণা দিয়েছেন এতে তেমন কোন ফল বয়ে আনবে না। কারণ দীর্ঘ ব্যয় সংকোচনের কারণে যে শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে এটি পূরনের জন্য তা পর্যাপ্ত নয়। কাউন্সিলার আমিনা আলী বলেন, পাবলিক সার্ভিসের বাজেট কর্তন কতো পরিকল্পনাহীন ছিলো বিভিন্ন সার্ভিসে এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াই এখন ফুটে উঠছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button