এই ভিসায় কোনো কোটাও রাখা হয়নি | ভিসাপ্রাপ্তরা যুক্তরাজ্যে নিজেদের পরিবারও আনতে পারবেন
মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে ব্রিটেনে নতুন ভিসা
নতুন এই ফার্স্ট-ট্র্যাক ভিসা রুট তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন নতুন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল
সারা বিশ্বের বিজ্ঞান, গবেষণা এবং উদ্ভাবনী খাতের মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে নতুন ভিসা চালু করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণিত- এসব বিষয়ে যাদের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে তারা নতুন ভিসায় যুক্তরাজ্যে আসার সুযোগ পাবেন। নতুন এই ভিসানীতি বিদ্যমান টিয়ের-১ এক্সসেপশনাল ট্যালেন্ট ক্যাটাগরি ভিসার অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে এসব মেধাবীদের যুক্তরাজ্যে আসতে হলে কোনো আর্থিক সামর্থ্যরে প্রমাণ দিতে হবে না। আবার যুক্তরাজ্যে আসার জন্য ব্রিটেনের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে আগাম কাজের প্রস্তাব বা বেতনেরও কোনো বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। কেবল নিজেদের মেধার প্রমাণ দিয়েই তারা যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন। নতুন এই ক্যাটাগরিতে প্রথমদিকে তিন বছরের ভিসা দেয়া হবে। এরপর তারা স্থায়ী বসবাসের জন্য (আইএলআর) আবেদন করতে পারবেন। এই ভিসাপ্রাপ্তরা যুক্তরাজ্যে নিজেদের পরিবারও আনতে পারবেন। মেধাবী আকর্ষণের এই ভিসায় কোনো কোটাও রাখা হয়নি।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সারা বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও সর্বোচ্চ মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে ফার্স্ট-ট্র্যাক (অগ্রাধিকারমূলক) ভিসা উন্নয়নে হোম অফিস, বাণিজ্য, জ্বালানি ও শিল্প কৌশল বিভাগকে বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ শুরুর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এই ভিসার আওতায় বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দিকনির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবিষয়ে বলেন, উদ্ভাবনের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে ব্রিটেনের। বাইসাইকেল থেকে শুরু করে লাইটবাল্বের মতো অনেক কিছু উদ্ভাবিত হয়েছে এই দেশে। জ্ঞানের অগ্রগতিতে সারাবিশ্বে নিজেদের নেতৃত্ব নিশ্চিত রাখতে কেবল স্থানীয় মেধাবীদের ওপর ভরসা করলে হবে না। সারা বিশ্বের মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার অংশ হিেেসব এই বিশেষ ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নতুন এই ফার্স্ট-ট্র্যাক ভিসা রুট তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন নতুন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। তিনি বলেন, নতুন এই পরিকল্পনায় বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন কেন্দ্র হিসেবে ব্রিটেনের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করবে।
প্রীতি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে মেধাবী ও সম্ভাবনাময়দের আকৃষ্ট করার মতো ভিসা ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্রিটেনকে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ অর্থনীতিতে রূপান্তর করতে চাই আমরা। আর এরই অংশ হিসেবে বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের আকৃষ্ট করার জন্য অভিবাসন ব্যবস্থার মূল অংশ হবে ফার্স্ট-ট্র্যাক ভিসার ব্যবস্থা পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।