কাশ্মীরে গণভোট দেয়ার আহ্বান ওআইসির
ভারত শাসিত কাশ্মীরে চলমান সংকট ও সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গণভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ওদিকে, কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন সিনেটর ও প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা প্রত্যাশী ডেমোক্র্যাট নেতা বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি কাশ্মীরে ভারতীয় অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করে বলেন, কাশ্মীর সংকট নিরসনে জাতিসংঘের সমর্থিত প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সমর্থন দিতে হবে। অপরদিকে, কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি তাদের আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। ডন, এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারত শাসিত কাশ্মীরে চলমান সঙ্কট ও সমস্যা সমাধানে জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে গণভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওআইসি এই আহ্বান জানায়। পাশাপাশি কাশ্মীরকে আন্তর্জাতিকভাবে দেয়া মর্যাদা রক্ষার কথাও সংস্থাটি জোরালোভাবে উল্লেখ করে বলে জানায় পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য ডন।
সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীর উত্তেজনা ও সেখানকার মানুষের মৌলিক অধিকারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সক্রিয় হওয়ার প্রেক্ষিতে ওআইসি সচিবালয় থেকে এই বিবৃতি দেয়া হয়। বিবৃতিতে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জম্মু ও কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদার কথা জোর দিয়ে উল্লেখ করা হয়।
মুসলিম দেশগুলোর শীর্ষ এই সংস্থা কাশ্মীরের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে সম্প্রতি ওআইসি সম্মেলনের সিদ্ধান্ত এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে নেয়া প্রস্তাবগুলোর কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি ওআইসি অবিলম্বে ভারত শাসিত কাশ্মীর থেকে কারফিউ তুলে নেয়ার, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট ব্যবস্থাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহালের এবং কাশ্মীরের জনগণের মৌলিক অধিকারগুলোর প্রতি সম্মান দেখাতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে অঞ্চলটিতে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আর্ন্জাতিক সম্প্রদায়ের মতো ওআইসি’ও উদ্বিগ্ন বলেও উল্লেখ করে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে নয়াদিল্লী। পাশাপাশি কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে ভারত সরকার। এরপর থেকেই ভারত শাসিত কাশ্মীরে টানা কারফিউ চলছে। পাশাপাশি বন্ধ করে রাখা হয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সংযোগসহ সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর প্রায় এক মাস পর হতে চললেও উপত্যকাটি কার্যতঃ অচল হয়ে আছে। সেখানকার মানুষের দৈনন্দিন জীবনও হয়ে আছে স্থবির।