ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভাগ্য খুলতে পারে
ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন হলে ব্রিটেন ছেড়ে চলে যেতে হবে ইউরোপের অন্য দেশের শ্রমিকদের। তখন হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সব সেক্টরে দেখা দেবে শ্রমিক সংকট। আর এ সময় এশিয়া, আফ্রিকা থেকে শ্রমিক নেবে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বলে মনে করে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার। দক্ষ জনশক্তি গড়াতে ইনস্টিটিউট তৈরির পরামর্শ তাদের। বাংলাদেশিদের এই সুযোগ কাজে লাগানোর তাগিদ দিয়েছে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার।
তারা বলছে, দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারলে ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনে প্রচুর বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ নিয়ে যেতে পারবেন। অবশ্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন, এ পথেই বাংলাদেশ সরকার হাঁটছে। ব্রেক্সিট ব্যর্থতায় যুক্তরাজ্যের দুজন প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসন। থেরেসা মে’র উত্তরসূরি হিসেবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনকে বিচ্ছেদ ঘটাতে হবে জনসনকেই। সেজন্য তার হাতে সময় মাত্র তিনমাস।
ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি বশির আহমেদ বলেন, শিক্ষিত বেকারের হার কিন্তু দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। এটার একমাত্র কারণ জেনারেশনকে বোঝাতে হবে স্কিল ডেভেলপমেন্ট সার্টিফিকেট দরকার।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনের শ্রমবাজার ধরতে কাজ শুরু করেছে সরকার। আমাদের যে লোক কাজ করত হোটেল সেক্টরে আর হাউজ কিপিং সেক্টরে; এটার জন্য অটোমেটিকলি রাস্তা খুলে যাবে।
বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশ একে অন্যের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে। ৪৬ বছর ধরে চলে আসছে এ নিয়ম। ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে বলে জানান ব্রিটিশ চেম্বারের সভাপতি।