লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাংসদ ফিলিপ লি
সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো জনসন সরকার
১৯৯৬ সালের পর প্রথমবারের মতো বৃটেনে সংখ্যালঘু সরকার বিরাজ করছে
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকার। আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও টরি বিদ্রোহীদের মধ্যে এক শোডাউনের আগ দিয়ে কনজারভেটিভ পার্টি ছেড়ে লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাংসদ ফিলিপ লি। দেশটিতে ব্রেক্সিট নিয়ে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নাটকীয় এই পরিবর্তন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের ওপর বড় ধরণের আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। পার্লামেন্টে অধিবেশন শুরুর আগ দিয়ে লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের সারিতে গিয়ে বসেন লি। এতে ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবারের মতো বৃটেনে সংখ্যালঘু সরকার বিরাজ করছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নপন্থি (ইইউ) সাংসদ লি। ১৯৯২ সালে কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগ দেন। নিজের দল পরিবর্তন বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৯২ সালে দলটিতে যোগ দিয়েছিলাম। আজ সেটি ছেড়ে যাচ্ছি।
এই কনজারভেটিভ সরকার আগ্রাসী ও অনৈতিকভাবে একটি ভক্সগুর ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে মানুষের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকিতে পড়ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বৃটেনের অখন্ডতাকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আরো বড় পরিসরে, এতে আমাদের দেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র ও বিশ্বে আমাদের দেশের ভূমিকাকে পতনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই সরকার রাজনৈতিক কৌশল, নির্যাতন ও মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। আর এসব করা হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে।
নিজের পদত্যাগপত্রে লি আরো বলেন, জনসনের অধীনে কনজারভেটিভ পার্টি লোকরঞ্জনবাদ ও ইংলিশ জাতীয়তাবাদের রোগে সংক্রমিত হয়ে পড়েছে।
সাম্প্রতিক মাসে এ নিয়ে বিভিন্ন দলের তিন জন সাংসদ নিজ দল ছেড়ে লিবারেল ডেমোক্র্যাটে যোগ দিয়েছেন। লি ছাড়া বাকি দুই জন হচ্ছেন, সাবেক লেবার এমপি চুকা উমুন্না ও সাবেক কনজারভেটিভ এমপি সারাহ ওলাস্টোন।