১৪অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট
৫ সপ্তাহের জন্য বৃটেনের পার্লামেন্ট স্থগিত হয়ে গেছে। ১৪ই অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয় পার্লামেন্ট। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ অবস্থায় পার্লামেন্টে কোনো বিল পাস হবে না। গত মাসের শেষের দিকে পাঁচ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
জনসনের পার্লামেন্ট স্থগিতের ঘোষণা তীব্রভাবে সমালোচিত হয়। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সঙ্গে কোনো চুক্তি না করেই বৃটেনের বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সমপন্ন করতে চান বরিস জনসন। তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যরা যেন বাধা দিতে না পারে সেজন্যই পার্লামেন্ট স্থগিত করে দিচ্ছেন তিনি। তার ওই ঘোষণার পরপরই দ্রুত পদক্ষেপ নেন বিরোধীরা। পার্লামেন্টে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে বিল পাস হয়। বিল অনুসারে, ১৯শে অক্টোবরের মধ্যে পার্লামেন্ট কোনো চুক্তিতে সম্মত না হলে বা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটে সমর্থন না দিলে ইইউ’র কাছে ব্রেক্সিটের সময়সীমা পেছাতে অনুরোধ করতে হবে জনসনকে। তবে চ্যান্সেলর সাজিদ জাভিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইইউ’কে ব্রেক্সিট পেছাতে অনুরোধ করবেন না।
উল্লেখ্য, ব্রেক্সিট নিয়ে বৃটেনের রাজনীতিতে তীব্র অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন ও তার নেতৃত্বাধীন জোট। দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়ায় ২১ এমপিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন জনসন। দলত্যাগ করেছেন একাধিক এমপি। পদত্যাগ করেছেন আরো অনেকে। সর্বশেষ রোববার পদত্যাগ করেছেন কর্ম ও পেনশন মন্ত্রী এবং কনজারভেটিভ হুইপ অ্যাম্বার রাড। পদত্যাগের পর তিনি জানান, তার আশঙ্কা, ইইউ’র সঙ্গে কোনো চুক্তি করার ইচ্ছা নেই জনসনের। তিনি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট সমপন্ন করার কৌশল মেনে চলছেন।