দ্বিতীয় গণভোটের দাবি ক্যামেরনের
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটেনের রাজনৈতিক সংকট নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তিনি বলেছেন, ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কৌশলের সঙ্গে আমি একমত নই। আমি এখনো বিশ্বাস করি, ব্রেক্সিট ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোটের আয়োজন করা এখনো সম্ভব। টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন তিনি। শুক্রবার সাক্ষাতকারটি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হবে ক্যামেরনের আত্মজীবনী ‘ফর দ্য রেকর্ড’। তিনি এখন এই বইয়ের প্রচারণার কাজ করছেন।
ক্যামেরন বলেন, আমি ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো পদক্ষেপ সমর্থন করি না। ‘নো ব্রেক্সিট ডিল’ কোনো ভালো ধারণা নয়। তিনি বলেন, বেক্সিটের গণভোট আয়োজন করায় কিছু মানুষ আমাকে কখনোই ক্ষমা করবেন না। কারণ সবার সমর্থন ছিল না। তিনি আরো বলেন, গণভোটের প্রচারণা থেকে থেকেই বরিস জনসন ও মাইকেল গোভের আচরণ আতঙ্কজনক। এর আগে ক্যামেরন বলেছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটা আস্ত মিথ্যুক। স্রেফ নিজের ক্যারিয়ারের জন্য তিনি ব্রেক্সিট প্রচারণাকে সমর্থন জুগিয়েছেন। আর কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা মাইকেল গুভের একমাত্র যোগ্যতা হচ্ছে বিশ্বাসঘাতকতা। ক্যামেরন তার নতুন লেখা বইতে নিজের দলের দুই নেতা সম্পর্কে এ মন্তব্য করেছেন। রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমস-এ বইয়ের কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়েছে।
বইতে নিজের স্কুলবন্ধু জনসন সম্পর্কে ক্যামেরনের সবচেয়ে বিস্ফোরক অভিযোগটি হচ্ছে, তুরস্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে এর সম্ভাব্য প্রবেশের ওপর দৃষ্টিনিবদ্ধ রেখে বর্ণবাদী নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন জনসন। তিনি লিখেছেন, ‘ছাড়ার (ব্রেক্সিট) ঘোর কাটতে বেশি সময় লাগেনি। যে দেশটি ইইউর সদস্য নয় তার ওপর মনোযোগ কেন? উত্তরটি হচ্ছে, এটা মুসলিম দেশ, যেটি ইসলামবাদ সম্পর্কে, গণঅভিবাসন ও সমাজ রূপান্তরের ভয় উস্কে দিচ্ছে। এটা ছিল ভয়ঙ্কর।’ চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট নিয়েও জনসনের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন ক্যামেরন। জনসনের সঙ্গে এই চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্যামেরনেরই প্রাক্তন সহকর্মী ও কনজরাভেটিভ দলের অন্যতম নেতা মাইকেল গুভ। বইতে এই দুজনেরই আচরণ ‘আতঙ্কজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন ক্যামেরন। তিনি লিখেছেন, ‘তারা দুজনই যে সরকারের অংশ তাকে কার্যত দুমড়েমুচড়ে ফেলছে।’ মাইকেল গুভ সম্পর্কে ক্যামেরন বলেছেন, ‘মাইকেলের একটি গুণই জ্বলজ্বলে-বিশ্বাসঘাতকতা। আমার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা এবং পরে জনসনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’