সিলেটী নাটকে ধর্মীয় পোষাকে নষ্টামী; প্রতিবাদের ঝড়
ইদানিং সিলেটী নাটক বা কৌতুকে ইসলামী পোষাক পাঞ্জাবী, টুপি, ও বোরখা পরে নষ্টামী শুরু করেছে কিছু নাট্যকর্মী। এমনকি নকল দাড়ি লাগিয়ে তারা নাটকে নানা অশ্লিল কাজ করছে। এনিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সুশিল সমাজে। সুশিল সমাজ মনে করেন শাহজালালের মাটি সিলেটে এরকম পোষাক পরিধান করে নাটক তৈরীর নামে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে কলুষিত করা হচ্ছে। অবিলম্বে এসকল নাটক তৈরীর সাথে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহবান জানান তারা। অন্যথায় এরকম নাটক মঞ্চস্থকারীদের বিরুদ্ধে সিলেটবাসী জেগে উঠবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এনিয়ে ইতোমধ্যে ঝড় উঠেছে। নাটকের বিভিন্ন ভঙ্গির ছবি পোস্ট করে সুশিল সমাজ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
এমনি একটি ছবি আপলোড দিয়ে ইকবাল হাসান জাহিদ লেখেন- এই পাঞ্জাবী পরিহিত লোকটা কোনো হুজুর বা মৌলভী নয়। শাহজালালের পূণ্যভূমিতে লুচ্চাচরিত্রের এই লোক অবাধে অপসংস্কৃতির বিষবাষ্প ছাড়াচ্ছে। উনি পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট একটা জনগোষ্ঠীকে কলুষিত করার জন্য পাঞ্জাবী টুপি পরে দাড়ি লাগিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিতে নাটক করে যাচ্ছেন। সিলেটী নাটকের নামে এই বদমাইশ লোকটা সিলেটের ইজ্জত নষ্ট করছে। একদিকে সিলেটীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নষ্ট করছে, নোংরা ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিতে নাটকের নামে শেখাচ্ছে যৌনতা, নষ্ট করছে তরুণ ও কিশোর সমাজ। অন্যদিকে সিলেটীদের সামাজিক উন্নত রুচির পরিচয়কে মেশাচ্ছে ধুলোয়।
বিশেষত পাঞ্জাবী টুপি পরে মুখে দাড়ি রেখে নারীদের সাথে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, গানবাজনা, ড্যান্স সহ সকল প্রকার অপসংস্কৃতির বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। কিন্তু কেউ তার ধারাবাহিক বদমায়েশী চরিত্রের ব্যাপারে মুখ খুলতে দেখছি না। বিষয়টা নিয়ে ভাবুন। সিলেটের যুব সমাজ ও তরুণ আলেম সমাজ এই বিষয়ে সোচ্চার হোন। একদিকে সিলেটের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অন্যদিকে শাহজালালালের পূণ্যভূমীর পবিত্রতা রক্ষা করা সকল মুমিনের দায়িত্ব।