এরদোগানের ইসরাইল বিরোধী ভাষণের সমর্থনে ২ লাখ টুইট
নিজাম উদ্দীন সালেহ: গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দান করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি তার ভাষণে ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সম্প্রসারণবাদী নীতিমালার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন এবং ফিলিস্তিন-ইসরাইল বিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহŸান জানান। তার জোরালো ও আবেগঘন ভাষণ ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিশ্বের ২ লক্ষাধিক লোক তার ভাষণের ব্যাপারে টুইট করেছেন। এতে টুইটকারীরা তার ভাষণের বিভিন্ন উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছেন। এরদোগান তার ভাষণে ইসরাইলের আগ্রাসী নীতির সমালোচনা করে বলেন, ইসরাইল রাষ্ট্রের সীমান্ত কোথায়? এটা কি ১৯৪৮ সালের সীমানা, নাকি ১৯৬৭ সালের, নাকি অন্য কোথাও? তিনি জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের কাছে এই প্রশ্নগুলো রাখেন। তিনি বলেন, ইসরাইলের দখলকৃত ফিলিস্তিনী এলাকাসমূহ বৈধ নয়। তিনি আরো বলেন, তুরস্ক সব সময় নির্যাতিত ফিলিস্তিনী জনগণের পাশে থাকবে, যেমনটি আজ পর্যন্ত আছে।
এরদোগানের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু টুইটারে এরদোগানকে ‘মিথ্যুক’ বলে আখ্যায়িত করেন। এর জবাবে তুরস্কের প্রেসিডেন্সী কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর ফাহরেত্তিন আলতুন বলেন, নেতানিয়াহু দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত হয়ে নিজের অভ্যন্তরীন সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরানোর চেষ্টা করছেন। প্রেসিডেন্সীয়াল মুখপাত্র ইব্রাহীম কালিন নেতানিয়াহুর বিবৃতির সমালোচনা করে টুইট বার্তায় বলেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনী ভূমি জবরদখল এবং ফিলিস্তিনী জনগণের ওপর নির্যাতন চালানোর ব্যাপারে কথা বলায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হতাশ হয়েছেন। মিঃ নেতানিয়াহুর বুঝা উচিত যে, কন্ঠহারাদের কন্ঠ প্রেসিডেন্ট এরদোগান নির্যাতিতদের রক্ষায় অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবেন।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান খালেদ মিশাল এরদোগানের কাছে প্রেরিত এক পত্রে জাতিসংঘের এজেন্ডায় ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে আসায় তাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এরদোগানের ভাষণ বিশ্বের সকল নির্যাতিত মানুষের পক্ষে প্রদত্ত। এরদোগান গত বৃহস্পতিবার প্রদত্ত এক বক্তব্যে বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ইসরাইল গিয়েছিলাম। স্ত্রীসহ একটি কারে ছিলাম আমি। ইসরাইল থেকে ফিলিস্তিন পেরিয়ে সীমান্তে আমাদেরকে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। আমি বুঝতে পারিনা কেনো তারা আমাকে আটকে রেখেছিলো। আমি একটি সরকারি সফরে তেল আবিব গিয়েছিলাম। এই হচ্ছে রাষ্ট্র প্রধানদের প্রতি ইসরাইলের আচরণ। তারা যাকে পছন্দ করে তার জন্য দুয়ার খুলে দেয়, আবার যাকে পছন্দ করে না তার জন্য দরোজা রুদ্ধ করে দেয়। তারা কখনোই আন্তরিক নয়’।