মুসলিম উইমেন অব দ্য ইয়ার উপাধিতে ভূষিত হলেন রাশিদা তালিব
মুসলিম উইমেন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত রাশিদা তালিব। জর্ডানের আম্মানভিত্তিক রয়্যাল ইসলামিক স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার থেকে প্রকাশিত মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকায় রাশিদা তালিবকে এ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ১১৬ তম কংগ্রেসে এসে প্রথমবারের মতো মুসলিম জনগোষ্ঠী থেকে দু’জন নারী সদস্য নির্বাচিত হন। একজন রাশিদা তালিব, দ্বিতীয়জন সোমালি বংশোদ্ভূত ইলহান ওমর। জর্ডানের সংস্থাটি ‘দ্য মুসলিম ফাইভ হান্ড্রেড’ নামে বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকার এক নম্বরে রয়েছেন পাকিস্তানের মুসলিম স্কলার মুফতি তাকি উসমানি।
এর আগে ২০০৮ সালে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে মিশিগানের আইনসভায় নির্বাচিত হয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছিলেন রাশিদা। মিশিগানের ডেট্রয়েটের বাসিন্দা রাশিদা তালিবের পরিবার ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনের ছোট একটি গ্রাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিল।
ফিলিস্তিনি-আমেরিকান প্রগতিশীল অধিকার কর্মী রাশিদা তালিব।পরিবেশ নিয়ে কাজ করার জন্য সুপরিচিত রাশিদা মিশিগান অঙ্গরাজ্যের সাবেক আইনপ্রণেতা। নির্বাচনে জয়ের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি জানান, সবচেয়ে বড় বুলি’কে দেখে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, বরাবরই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন রাশিদা। দু’বছর আগে ডেট্রয়টে ট্রাম্পের ভাষণ বাধাগ্রস্ত করার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এখানে উল্লেখ্য, এর আগে মাত্র দুজন মুসলিম মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত হতে পেরেছিলেন। ওই দুজনই ছিলেন পুরুষ।