বেইজিংয়ে শি-ইমরান বৈঠক
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশেই থাকবে চীন
ভারত সরকার গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে রাজ্যটিকে কেন্দ্রশাসিত দু’টি আলাদা অঞ্চলে ভাগ করার ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এরপর কয়েকটি দেশ ভারতের পক্ষ নিলেও পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে কথা বলে চীন। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিরোধে থাকা চীন কাশ্মীর নিয়ে দিল্লির পদক্ষেপ ‘মেনে নেয়া যায় না’ মন্তব্য করে পাকিস্তানকেই সর্মথন দিয়েছে। বুধবারও এমনটাই জানালো দেশটি। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশেই থাকবে চীন। বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট জানান, কাশ্মীর পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন তারা। এই ইস্যুতে বেইজিং যে পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়াবে, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শি জিনপিং।
বর্তমানে বেইজিং সফরে রয়েছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরই মধ্যেই চীনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। বুধবার ছিলো প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক। চীনের সংবাদ মাধ্যম জিনহুয়া নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই বৈঠকেই শি জিনপিং বলেন, কোনটা ঠিক কোনটা ভুল, সেটা স্পষ্ট। কাশ্মীর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে এবং বেইজিং ইসলামাবাদের পাশেই থাকবে।
শি জিনপিং বলেন, আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক পরিস্থিতিতে যে পরিবর্তনই আসুক, পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্ব কখনোই ভাঙেনি, বরং পাথরের মতো দৃঢ় থেকেছে। বেইজিং-ইসলামাবাদ পারস্পারিক সহযোগিতাও সব সময়ই রয়েছে।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তোলার পরেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে চরম অবনতি হয়। আন্তর্জাতিক মহলে, এমনকি জাতিসংঘেও বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সরব পাকিস্তান।