রানির ভাষণেও প্রাধান্য পেল বরিসের ব্রেক্সিট
ব্রিটেনের পার্লামেন্টে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দেওয়া ভাষণেও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বক্তব্যই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। রানিও আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কীভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে নিরাপদে ব্রিটেন বের হতে পারে সেটাই তার সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া রানি তার ভাষণে অপরাধ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষেত্রে নতুন আইন হবে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু বিরোধীরা এসব প্রস্তাবকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহার বলে উল্লেখ করেছেন।
গতকাল থেকে ব্রিটেনের পার্লামেন্টের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ঐতিহ্য অনুযায়ী পার্লামেন্টে ভাষণ দেন রানি। তিনি ২০টিরও বেশি বিলের কথা বলেন যেগুলো পাশ হতে পারে কেবল ব্রেক্সিট কার্যকর হলে। বর্তমানে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী বরিসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। হাউজ অব লর্ডসের ডিবেটিং চেম্বার থেকে দেওয়া ভাষণে রানি বলেন, ইইউ’র সঙ্গে নতুন অংশীদারিত্ব গড়ে তোলাই সরকারের মূল লক্ষ্য। মুক্তবাণিজ্য এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমেই এটা করা হবে। ভাষণে ব্রেক্সিট কার্যকরের পর অপরাধ, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কী ধরনের নীতি গ্রহণ করা হবে সেই বিষয়ে একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
ভাষণের পর প্রধানমন্ত্রী বরিস এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান অচলাবস্থায় মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তারা ব্রেক্সিটের জন্য আর অপেক্ষা করতে চান না। তিনি ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ। বিরোধী লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, রাজসিংহাসন থেকে আমরা সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার পড়তে দেখলাম। রানিকে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে।