এরদোয়ানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প
সিরিয়ায় কুর্দিবিরোধী অভিযানে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়ে্যপ এরদোয়ানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইটে তিনি বলেন, ‘এরদোয়ান যা করেছেন আমি তার প্রশংসা করি। এতে করে অনেক মানুষের জীবন বাঁচবে।’ অথচ দুদিন আওে ট্রাম্প তুরস্কের কঠোর সমালোচনা করেছে। সেইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে। আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিয়ে রেখেছিলেন। এদিকে, ট্রাম্পের টুইটের উত্তরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, অনেক মানুষ তখনই বাঁচবে, যখন আমরা সন্ত্রাসকে নির্মূল করতে পারবো।’ অন্যদিকে, তুরস্কের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হলেও সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে প্রচন্ড সংঘর্ষ চলছে।
গত ৯ অক্টোবর তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। এরপর মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে তুরস্কে পাঠানোর ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পেন্স জানান, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক। তবে সেটা মাত্র পাঁচ দিনের জন্য।
ট্রাম্প বলেন, ‘তুরস্ক সঠিক কাজ করেছে এবং সেজন্য আমি এরদোয়ানের প্রতি সম্মান জানাই।’ টেক্সাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি এরদোয়ানকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। তিনি আমার বন্ধু। আমি খুশি যে, আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই।’ এছাড়া এরদোয়ানকে দারুণ নেতা বলেও প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, এরদোয়ান একজন শক্তিশালী ও দৃঢ়চেতা মানুষ। তুরস্কের সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের অনেক শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে। তার আমাদের বন্ধু ও ন্যাটোর সদস্য।’
উলেস্নখ্য, বৃহস্পতিবার আঙ্কারায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়ে্যপ এরদোয়ান সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দিবিরোধী অভিযান পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। তিনি এ সময়ের মধ্যে সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার এলাকা থেকে কুর্দি গেরিলাদের সরে যাওয়ার শর্তও দেন।
এরআগে, গত ৬ অক্টোবর এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলে ট্রাম্প জানান, সিরিয়ার তুর্কি সীমান্ত এলাকা থেকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। সমালোচকরা বলছেন, ওই ঘোষণার মধ্য দিয়ে তুরস্ককে সিরিয়ায় অভিযান পরিচালনার ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি কৌশলগত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অসাধারণ। আমাদের সেনারা সেখানে নেই। তারা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। আমরা পরিস্থিতি দেখছি এবং আলোচনা করছি, যাতে তুরস্ক সঠিক কাজ করতে পারে। কারণ আমরা চাই যুদ্ধ থামাতে।’