দৈনিক দ্য সানডে টাইমসের প্রতিবেদন
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পেছাবে ব্রেক্সিট
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যদি চলতি সপ্তাহে অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার সম্পাদিত চুক্তি পার্লামেন্টে পাস করাতে ব্যর্থ হন তাহলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট কার্যকরের নির্ধারিত সময় পিছিয়ে দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যুক্তরাজ্যের দৈনিক দ্য সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে এমন খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, বর্ধিত সময় শেষ হওয়ার আগে যদি চুক্তিটি পার্লামেন্টের অনুমোদন লাভে সমর্থ হয় তাহলে ১ নভেম্বর অথবা ১৫ ডিসেম্বর নইলে জানুয়ারিতে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে পারবে যুক্তরাজ্য।
প্রত্রিকাটির অনলাইন প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, আগামী মঙ্গলবারের আগে বরিসের সম্পাদিত চুক্তিটি পার্লামেন্টে পাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ওই সময় পার হওয়ার তারা তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
গতকাল রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনৈতিক ও কর্মকর্তারা ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, লন্ডনে কী অগ্রগতি হচ্ছে তার ওপর এটা নির্ভর করছে। এমন হতে পারে যে ব্রেক্সিট কার্যকরের জন্য আগামী নভেম্বর অথবা আরও ছয় মাস পর্যন্ত সময় দেয়ার হতে পারে।
এদিকে গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার সম্পাদিত চুক্তি পার্লামেন্টে উত্থাপনের আগেই অন্য এক এমপির একটি প্রস্তাব পাস হয়। তাতে করে এর আগে পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইনের কারণে প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন করতে বাধ্য হয়।
ব্রেক্সিট আরও বিলম্বিত করার অনুরোধ জানিয়ে স্বাক্ষরবিহীন একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পাশাপাশি নিজের সই করা আরেকটি চিঠিতে তিনি এটাও লিখেছেন, ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেয়া হবে একটি ভুল পদক্ষেপ।
ব্রেক্সিটে সময় চেয়ে ইইউকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সই ছাড়া চিঠি পাঠানোর পরও যুক্তরাজ্য ৩১ অক্টোবরেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করবেবলে জানিয়েছে তার সরকার। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এর আগে ঘোষণা দিয়েছেন যেভাবেই হোক তিনি আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকর করবেন।