তুরস্কের বিরুদ্ধে অবরোধ তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর পর ৯ দিন আগে তুরস্কের বিরুদ্ধে আরোপিত অবরোধ তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার সীমান্তে যুদ্ধবিরতিতে তুরস্কের সঙ্গে সেনা মোতায়েনে রাশিয়া রাজি হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার তিনি অবরোধ তুলে নেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন। তার পরে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি মন্ত্রী, সরকারের সিনিয়র তিনজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১৪ই অক্টোবর যে অবরোধ আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিরিয়া থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করেন ট্রাম্প। এরপরই সেখানে কুর্দিদের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। কারণ, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অবস্থানকারী কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) ছিল জঙ্গি সংগঠন আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন যুদ্ধে ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করার পর তারা এরদোগানের হামলার মুখে পড়ে। শেষ পর্যন্ত তারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের সঙ্গে সন্ধি করে। আকস্মিকভাবে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের কারণে নিজ দল রিপাবলিকান ও বিরোধী ডেমোক্রেটরা তীব্র সমালোচনা করেন ট্রাম্পের। এরই মধ্যে রাশিয়ার সোচি’তে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হয় এরদোগানের। সেখানে দু’পক্ষ এক হয়ে সিরিয়ার ওই অঞ্চলে কাজ করতে সম্মত হয়। এ খবরের পর হোয়াইট হাউজ থেকে টেলিভিশনে বক্তব্য রাখেন ট্রাম্প। এতে তিনি বলেন, সেখানে যদি আর কোনো অসন্তোষজনক ঘটনা না ঘটে, তাহলে আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করবো। তিনি আরো বলেছেন, ওই অঞ্চলে যুদ্ধ স্থগিত রাখার বিষয়ে তাকে নিশ্চয়তা দিয়েছে তুরস্ক। সম্প্রতি যে যুদ্ধবিরতি করা হয়েছে তা স্থায়ী রূপ নেবে।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে দেশের ভিতরে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত জায়গাকে নিরাপদ এলাকা হিসেবে সৃষ্টি করতে চায় তুরস্ক। সেখানে সিরিয়ার শরণার্থীদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা রয়েছে এরদোগানের।