ইংল্যান্ডে হাউজিং বেনিফিটের সাথে বাড়ীভাড়ার বিস্তর পার্থক্য
ইংল্যান্ডে হাউজিং বেনিফিটে রয়েছেন এমনবাসিন্দাদের শতকরা ৯৪% বেশী ভাড়া বাড়ীতে থাকেন। অর্থ্ প্রাতি ১০টি বাড়ীর মধ্যে ৯টির বাড়ীর বাসিন্দাদের প্রাপ্ত হাউজিং বেনিফিটের চেয়ে অনেক বেশী ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। স্টেইট এজেন্ট ঝুপলায় বিজ্ঞাপন দেয়া ৭৫ হাজার বাড়ীর ভাড়া গবেষনা করে ন্যাশনাল হাউজিং ফেডারেশন এই পরিসংখ্যান উদঘাটন করেছে।
গবেষনাকালে তারা প্রাইভেট বাড়ীর ভাড়া এবং লোকাল হাউজিং এলাউন্স তুলনা করে দেখতে পায় যে এর মধ্যে বিস্তর ফারাক। উল্লেখ্য যে, লোকাল হাউজিং এলাউন্স রেইটস সরকার কর্তৃক নির্ধারিত এবং প্রাইভেট ল্যান্ডলর্ড থেকে যারা বাড়ীর ভাড়া নেন তাদের হাউজিং বেনিফিট প্রদানকালে তা বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে দফায় দফায় রেইটসকাট এবং ২০১৬ সালের পর চার বছরের জন্য বেনিফিট ফ্রিজ হয়ে যাবার কারনে বাড়ীর ভাড়ার সাথে এটি ভারসাম্য রাখতে পারছে না। যার মানে হচ্ছে অনেক পরিবারই বেনিফিটের অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধ করতে না পেরে দেনার মধ্যে পড়ছেন এমনকি কেউ কেউ হোমলেস হচ্ছেন।
পরিসংখ্যান মতে ইনার ইস্ট লন্ডন যার মধ্যে বেশীরভাগই টাওয়ারহ্যামলেটস কাভারকরে এমন এলাকার ৮১৭ টিবাড়ীর মধ্যে মাত্র ৩৯টি (৪.৭৭%) বাড়ীর ভাড়া যারা বেনিফিট গ্রহন করেন তাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব। অন্যদিকে সমগ্র লন্ডনে ১৯ হাজার ১শ ৭টি বাড়ীর মধ্যে মাত্র ৯শ ৪২টি (৪.৯৩%) বাড়ীর ভাড়া তাদের পক্ষে বহনকরা সম্ভব হচ্ছে। বিশেষকরে টাওয়ারহ্যামলেটসে লোকাল হাউজিং এলাউন্স এবং প্রাইভেট রেন্টের মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। ৪ বেডের বাড়ীর জন্য লোকালহাউজিং এলাউন্স হচ্ছে সপ্তাহে ৪৪২ পাউন্ড। কিন্তু সমমানের প্রাইভেট প্রপার্টির ভাড়া হচ্ছে সপ্তাহে ৬১৮ পাউন্ড। এই দুয়ের মধ্যে বার্ষিক এই ব্যবধান হচ্ছে ৯ হাজার পাউন্ডেরও বেশী। অনেক পরিবারের পক্ষেই এই অতিরিক্ত ভাড়া বহন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আর এজন্য টাওয়ারহ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জনবিগস হোমলেস বিষয়ক চ্যারেটি সংস্থা ক্রাইসিস এর ক্যাম্পেইনকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন। ভাড়ার সাথে বেনিফিটের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ক্রাইসিস এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে আসছে।
মেয়র জন বিগস এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রকাশিত পরিসংখ্যানটি সত্যিই ভয়ংকর। সরকারের উচিৎ এই গ্যাপ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া। বেনিফিট ফ্রিজ প্রত্যাহার এবং লোকালহাউজিং এলাউন্স বাড়িয়ে সরকার এই কাজটি দ্রুতই করতে পারে।
ডেপুটি মেয়র এবং হাউজিং বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনেকেই হোমলেস হচ্ছেন প্রাইভেট ট্যানেন্সি হারানোর কারনে। নতুন পরিসংখ্যানটি মানুষের কষ্টের মাত্রাটিই ফুটিয়ে তুলেছে। টাওয়ারহ্যামলেটস কাউন্সিল সামর্থে্যর মধ্যে ২০০০ হাজার বাড়ী বানানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।