মেগানের পাশে ব্রিটিশ নারী এমপিরা
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে বিয়ে হয় যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী মেগান মার্কেলের। আর এর মাধ্যমেই সৃষ্টি হয় নতুন ইতিহাস। শত শত বছরের প্রথা ভেঙে প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য হন তিনি।
কিন্তু ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেনে নিতে পারেনি হলিউডের একসময়ের নামকরা অভিনেত্রী মেগানকে। একের পর এক নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ সংবাদের এই অপেশাদারি আচরণে কিছুদিন আগেই প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রিন্স হ্যারি। এমনকি, কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশের জন্য চলতি মাসের প্রথম দিকে একটি সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন মেগান। এবার সব দলের নারী সাংসদরা একসঙ্গে মেগানের প্রতি করা আচরণের প্রতিবাদ জানালেন, প্রকাশ করলেন সহমর্মিতাও। ব্রিটেনের ৭০ জনের বেশি এমপি গত মঙ্গলবার খোলা চিঠি লেখেন মেগানের প্রতি। সেখানে তারা বলেছেন, মেগানের আচরণ ও তার পরিবার নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা ‘সেকেলে ও ঔপনিবেশিক’ মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সব রাজনৈতিক মতাদর্শের আইনপ্রণেতা হিসেবে আপনার বিষয়ে আমাদের জাতীয় সংবাদপত্রগুলো একাধিক কুরুচিপূর্ণ ও অসত্য প্রকৃতির সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমরা আপনার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। অনেক সংবাদ কাহিনি ও শিরোনাম আমরা দেখেছি। সেখানে আপনার গোপনীয়তার ওপর আঘাত করা হয়েছে এবং ভালো কোনো কারণ ছাড়াই আপনার চরিত্রে কালিমা লেপনের চেষ্টা করা হয়েছে। কোনো প্রতিবাদ ছাড়াই আমরা এগুলো মেনে নিতে পারি না।’