দূর হলো জনসনের পথের কাঁটা

টোরি দলের আসনে প্রার্থী দেবে না ব্রেক্সিট পার্টি

ব্রেক্সিট পার্টির নেতা ফারাজ বেশ কয়েকটি আসন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করায় আসন্ন নির্বাচনে টোরি দলের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে গেল৷ নির্বাচনের ঠিক এক মাস আগে এমন সমঝোতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আসন্ন নির্বাচনের আগে যে ‘উপহার’ পেলেন, তা লটারি জেতার থেকে কম নয়৷ ব্রেক্সিটপন্থি ভোটারদের সমর্থন আদায়ের পথে এতকাল তার টোরি দলের সামনে বাধা হয়ে ছিল ব্রেক্সিট পার্টি৷ একই আসনে দুই দলের প্রার্থী থাকায় ব্রেক্সিটপন্থি ভোটে বিভাজন এড়ানোর কোনো উপায় ছিল না৷ সোমবার ব্রেক্সিট প্রার্থীর প্রধান নাইজেল ফারাজ আচমকা সেই সব আসন থেকে দলের প্রার্থী প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন, যেখানে গত নির্বাচনে টোরি দলের জয় হয়েছিল৷ ফলে ৩১৭টি আসনে টোরি দলের সামনে একটি বড় বাধা দূর হলো৷ ফারাজ বলেন, তার দল এবার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বাকি ২৬২টি আসনে লেবার পার্টি, উদারপন্থি লিবডেম ও ব্রেক্সিট-বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ভোট আদায় করতে চায়৷

এই আংশিক সুখবরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও জনসনের দুশ্চিন্তা কিন্তু কমছে না৷ কারণ সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে হলে বর্তমান আসনগুলি ধরে রাখার পাশাপাশি তার দলকে আরও কিছু আসনে জয়লাভ করতে হবে৷ কমপক্ষে আরও নয়টি আসন পেলে সেই লক্ষ্য পূরণ হবে৷ ফারাজের প্রার্থীরা সেখানে এখনো বাধা সৃষ্টি করবেন৷ সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে জয়লাভ করলেও সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্রেক্সিট পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধতে হতে পারে৷

নাইজেল ফারাজ জানান, জনসন ২০২০ সালের পর ব্রেক্সিটের সময়সীমা না বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন৷ সেইসঙ্গে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাজনৈতিক সমন্বয় ছাড়াই কানাডার ধাঁচে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্য তুলে ধরেছেন৷ ফারাজ বলেন, দেশের স্বার্থে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন৷

ফারাজের দলের একাংশ ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকরাও ঐক্যের জন্য চাপ সৃষ্টি করছিলেন৷ ব্রেক্সিটপন্থি শিবিরে বিভাজনের ফলে ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে বলে তাদের মনে আশঙ্কা রয়েছে৷ উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফারাজের সঙ্গে এক রেডিও সাক্ষাৎকারে ব্রেক্সিটপন্থি শিবিরে ঠিক এমন ঐক্যেরই ডাক দিয়েছিলেন৷ লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন সোমবার সেই সংলাপের উল্লেখ করে বলেন, ফারাজ সেই নির্দেশ মানায় এবার ট্রাম্পের সাধ পূরণ হলো৷

নির্বাচনে জনসন ও ফারাজের দল যথেষ্ট আসন পেয়ে জোট বা সমঝোতার পথে গেলেও দুই পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য থেকে যেতে পারে৷ নাইজেল ফারাজ চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের দাবিতে অটল রয়েছেন৷ অন্যদিকে জনসন আবার সরকার গঠন করতে পারলে সংসদে দ্রুত ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করিয়ে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর৷ সে ক্ষেত্রে দুই নেতার মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে৷

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button