১৫তম ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড সোমবার: শত বছর ধরে চলমান রাখতে চান এনাম আলী

এনাম চৌধুরী: অসাধারণ মুগ্ধ করা বর্ণিল সব আয়োজনে ভরপুর! ব্রিটিশ রাজ্ পরিবারের সদস্য থাকে শুরু করে চমকে দেয়ার মতো সব সেলিব্রেটি আর সেই সাথে নামি-দামি সব রাজনীতিবিদদের মিলনমেলা! তারকায় ভরে ওঠে বছরের একটি দিন সেন্ট্রাল লন্ডনের বাটারসি অভ্যুলেশন পার্ক। পুরো পার্ক জোরে সাজ সাজ রব! মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জায় চোখ ধাঁধানো সুন্দর্যে ভরিয়ে দেয়া হয় একদিনের বিশাল এ আয়োজনকে! ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস হিসেবে কারি ইন্ডাস্ট্রির প্রেস্টিজিয়াস এ আয়োজনকে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন ‘এটি অসাধারণ এবং অনন্য, ব্রিটিশ কারি শিল্পের ইতিহাসে এটি অনবদ্য এবং এটি কারি শিল্পের ‘অস্কার’।
২৫ নভেম্বর সোমবার সেন্ট্রাল লন্ডনের বাটারসি পার্কে বসবে কারি অস্কারের পনেরোতম আসর!
ঐ দিন সন্ধ্যায় জমজমাট আসরের পর্দা উঠবে বরাবরের মতই অনুষ্ঠানের কো-প্রযোজক এনাম আলী এমবিই’র পুত্র তরুণ জেফরী আলীর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে। গত কয়েক মাস থেকে বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডসকে ঘিরে যে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছিল সেটি এখন আলোজ্বলমল রূপ দিয়েছে বাটারসি পার্ক কে! ‘নিউ ইয়র্ক ব্রডওয়ে’ থিমকে নিয়ে এবার ‘কারি কিং’ নিয়ে আসছেন পনেরোতম আসরের সেরা চমক!
এবারের অনুষ্ঠান গত ১৪টি অনুষ্ঠানের চেয়ে চমকপ্রদ হবে বলে জানিয়েছেন, বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডসের প্রবর্তক এনাম আলী এমবিই। বিশাল এ আয়োজন কেমন হবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত চৌদ্দটি আসরের একটি আসরের সাথে অন্যটির কোন মিল পাবেন না – কারণ ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস আয়োজনে সব সময় ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড কে গুরুত্ব দেয়া হয়!
এনাম আলী এমবিই বলেন, এবারের অনুষ্ঠানে এমন কিছু থাকবে যা ইতোপুর্বে কখনও ছিলো না। ‘নিউ ইর্য়ক ব্রডওয়ে’ থিম সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা প্রতি বছরই একটি থিমকে সামনে রেখে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করি। এবার তুলে ধরবো ’নিউ ইয়র্ক ব্রডওয়ের সংস্কৃতিকে’। নিউ ইয়র্ক ব্রডওয়ের সংস্কৃতি তুলে ধরার মধ্য দিয়ে বৃটিশ কারিকে নিউ ইয়র্কের সাথে পরিচিত করতে চাই।
কারি অ্যাওয়ার্ডসের মুল লক্ষ্য হচ্ছে বৃটিশ কারিকে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি দেয়া এবং বিশ্বের সাথে কারি শিল্পের সংযোগ স্থাপন করা।এনাম আলী বলেন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমকে ও আমরা কারি অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে তুলে ধরেছি।
তিনি বলেন, বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডে প্রতি বছরই মুলধারার রাজনীতিক, মন্ত্রী, এমপি, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজন অতিথি হয়ে আসেন। এবারের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কারা থাকছেন- জানতে চাইলে এনাম আলী বলেন এ বছর আমরা মন্ত্রী এমপিদের চেয়ে বৃটিশ সেলিব্রেটিদের অগ্রাধিকার দেবো। একটু ভিন্নতা আনতে চাই অনুষ্ঠানে। থাকবে ইন্টারন্যাশাল কোরিগ্রাফারের নৈপুণ্যে বিশ্বমানের লাইভ এন্টারটেইনমেন্টসহ আরো অনেক সারপ্রাইজ।
নিজের খ্যাতি অর্জন কিংবা ব্যবসার উদ্দেশে নয় ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড আয়োজন করা হয়নি উল্লেখ করে এনাম আলী এমবিই বলেন,কারি ইন্ডাষ্ট্রির প্রচার ও প্রসারের জন্য এ আয়োজন। এটি তাঁর পারিবারিক উদ্যোগ!
ব্রিটেনে মূলধারার সাথে প্রতিযোগিতা করে অনন্য কিছু করার এই কারিগরের কাছে প্রশ্ন ছিল -পৃথিবীর স্বাভাবিক নিয়মেই একদিন আপনার অনুপস্থিতি থাকবে আর তখন ‘কারি অস্কার’ হিসেবে খ্যাত এই অনুষ্ঠানটি কি বেঁচে থাকবে?
এনাম আলী বলেন, স্বপ্নটা দেখা একদিন স্বপ্নই ছিল- সেটি বাস্তব হয়েছে এবং অনেক ত্যাগ ও পরিশ্রমের ফসল ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস ‘কারি অস্কার’ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে! আমার এ পরিশ্রমকে আমার উত্তর সুরিরা বাঁচিয়ে রাখবে। এনাম আলী এমবিই ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডস-এর সাথে তার ছেলে-মেয়েদের সম্পৃক্ত করেছেন জানিয়ে বলেন কমিউনিটির মানুষের ভালোবাসার কথা আমার পরিবার সম্মানের সাথে স্মরণ করবে। আমার সন্তানরা এই অনুষ্ঠানকে ধরে রাখবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button